স্বতঃস্ফূর্ত চলন কী? এর প্রকারভেদ উদাহরণসহ আলোচনা করো। |
উদ্দীপক ছাড়াই উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ কোশের প্রোটোপ্লাজমের চলনকে স্বতঃস্ফূর্ত চলন বলে। নিম্নলিখিত প্রকারের স্বতঃস্ফূর্ত চলন দেখা যায়-
① প্রোটোপ্লাজমীয় চলন
এক্ষেত্রে উদ্দীপক ছাড়াই উদ্ভিদ কোশের প্রোটোপ্লাজমের স্বেচ্ছায় স্থান পরিবর্তন করে, এই ধরনের চলনকে সাইক্লোসিস বলে। এই চলন দু-প্রকারে-
• রোটেশন : এক্ষেত্রে উদ্ভিদ কোশটি পরিণত হলে দু-তিনটি ক্ষুদ্রাকার কোশগহ্বর মিশে গিয়ে একটি বড়ো গহ্বর তৈরি করে। সেই কেন্দ্রস্থ গহ্বরকে ঘিরে প্রোটোপ্লাজমের একমুখী চলনকে রোটেশন বলে। পাতা শ্যাওলা নামক জলজ উদ্ভিদের কোশে এরকম চলন দেখা যায়।
• সারকুলেশন: অপরিণত উদ্ভিদ কোশে অনেকগুলি ছোটো ছোটো কোশ গহ্বর থাকে। প্রতিটি কোশ গহ্বরকে ঘিরে সাইটোপ্লাজমের অনিয়মিত ঘূর্ণনকে সারকুলেশন বলে। কুমড়ো গাছের কান্ডের রোমের কোশে এই ধরনের চলন দেখা যায়।
② সিলিয়ারি চলন
এককোশী শৈবাল ক্ল্যামাইডোমোনাস, ভলভক্স ইত্যাদি ফ্ল্যাজেলার সাহায্যে ও উদ্ভিদের অযৌন জননের একক রেণু সিলিয়াযুক্ত (চলরেণু) হওয়ায় এরা স্থান পরিবর্তন করতে পারে। উদ্ভিদের সিলিয়া বা ফ্ল্যাজেলার দ্বারা এরূপ স্থান পরিবর্তনকে সিলিয়ারি চলন বা সিলিয়ারি গতি বলে।
③ অ্যামিবয়েড চলন
মিক্সোমাইসিটিস নামক উদ্ভিদ কোশে এবং উদ্ভিদের আপ্লানো গ্যামেট ক্ষণপদ সৃষ্টি করে সেই ক্ষণপদের মাধ্যমে ধীরে ধীরে স্থান পরিবর্তন করে। অ্যামিবার ন্যায় এই সকল উদ্ভিদের ক্ষণপদের সাহায্যে অনুরূপ চলনকে অ্যামিবয়েড গতি বা অ্যামিবয়েড চলন বলে।