সাইন্যাপস-এর পরাণু গঠন ও কাজ বর্ণনা করো। |
সাইন্যাপস-এর পরাণু গঠন
ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে পরীক্ষা করলে অ্যাক্সনের শেষপ্রান্তগুলিকে বোতামের মতো ফোলা দেখায়। এই ফোলা অংশগুলিকে সন্নিধি-স্ফীতি বা সাইন্যাপটিক নব্ (synaptic knob) বলে। এই নক্ যে আবরণ দিয়ে আবৃত থাকে তাকে তাকে প্রাক-সন্নিধি পর্দা বা প্রি-সাইন্যাপটিক মেমব্রেন (pre-synaptic membrane) বলে। অ্যাক্সনের শেষপ্রান্ত অর্থাৎ সাইন্যাপটিক নবের সঙ্গে পরবর্তী যে ডেনড্রাইট বা কোশদেহ মিলিত হয় তার আবরণীকে অধঃসন্নিধি পর্দা বা পোস্ট সাইন্যাপটিক মেমব্রেন (post-synaptic membrane) বলে। এই দুই মেমব্রেন অর্থাৎ পর্দার মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানকে সাইন্যাপটিক ব্যবধান বা সন্নিধি প্রণালী বা সাইন্যাপটিক ক্লেফট্ (synaptic cleft) বলা হয়। এই অঞ্চলে অবস্থিত তরলকে নিউরোহিউমর (neurohumor) বলে। সাইন্যাপটিক নবের মধ্যে অ্যাসিটাইলকোলিন (acetylcholine) নামে রাসায়নিক পদার্থপূর্ণ কতকগুলো থলি থাকে। এই রাসায়নিক পদার্থ প্রেরক পদার্থ বা নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে।
সাইন্যাপস-এর কাজ
সাইন্যাপস স্নায়ুস্পন্দনকে (nerve im- pulse) এক নিউরোন থেকে অপর এক নিউরোনে প্রবাহিত করে। যখন পূর্ববর্তী নিউরোন থেকে স্নায়ুস্পন্দন ওই নিউরোনের অ্যাক্সনের শেষপ্রান্তে আসে তখন সাইন্যাপটিক ভেসিকলগুলি বিদীর্ণ হয়ে অ্যাসিটাইলকোলিন নিঃসৃত করে, যা স্নায়ুস্পন্দনকে পরবর্তী নিউরোনের ডেনড্রাইটের মধ্যে প্রবাহিত করে।