মিউনিখ চুক্তি সম্পর্কে কী জানো লেখো -আজকের পর্বে মিউনিখ চুক্তি সম্পর্কে কী জানো আলোচনা করা হল।
মিউনিখ চুক্তি সম্পর্কে কী জানো লেখো
মিউনিখ চুক্তি সম্পর্কে কী জানো লেখো |
মিউনিখ চুক্তি
ভূমিকা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের তোষণ নীতির একটি উদাহরণ হল-মিউনিখ চুক্তি। মুসোলিনির মধ্যস্থতায় ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
পটভূমি
1938 খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়া দখল করার পর হিটলারের লুব্ধ দৃষ্টি পড়ে চেকোশ্লোভাকিয়ার ওপর। সুদেতান অঞ্চলে জার্মানদের সমস্যাকে হাতিয়ার করে হিটলার চেকোশ্লোভাকিয়া গ্রাস করার পরিকল্পনা করেন। তাঁর আগ্রাসী মনোভাব দেখে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স, ইটালির মধ্যস্থতায় জার্মানির সঙ্গে মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
মিউনিখ চুক্তির শর্ত
এই চুক্তিতে বলা হয়-
① চেকোশ্লোভাকিয়া সুদেতান অঞ্চল থেকে সরে যাবে।
② জার্মান সেনাবাহিনী ধাপে ধাপে সুদেতান অঞ্চলের দখল নেবে।
③ ব্রিটেন, ফ্রান্স ও ইটালি সুদেতান অঞ্চল ও অবশিষ্ট চেকোশ্লোভাকিয়ার সীমানা নির্দিষ্ট করে দেবে এবং বাকি অংশে চেকোশ্লোভাকিয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব নেবে।
গুরুত্ব
দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে যে সমস্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল মিউনিখ চুক্তি ছিল সেগুলির মধ্যে অন্যতম। কারণ-
① সামরিক ও নৈতিক দু-দিক থেকে জার্মানি সাফল্য লাভ করেছিল।
② পূর্ব ইউরোপের গণতন্ত্রের সর্বশেষ ঘাঁটি অস্ট্রিয়া এই চুক্তির ফলে গুঁড়িয়ে গিয়েছিল। এই চুক্তি হিটলারের মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করেছিল তাতে পরবর্তীকালে তিনি আগ্রাসী হয়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছিলেন।
③ ব্রিটেন ও ফ্রান্স কূটনৈতিক দিক দিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল।
④ 1938 খ্রিস্টাব্দের 21 অক্টোবর হিটলার মিউনিখ চুক্তির শর্ত লখন করে পুরো চেকোশ্লোভাকিয়া দখল করে নেন।