ভাইমার প্রজাতন্ত্র সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ আলোচনা করো। |
ভাইমার প্রজাতন্ত্র
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের পর সেদেশের সম্রাট কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়াম হল্যান্ডে পালিয়ে যান। এর ফলে জার্মানিতে রাজতন্ত্রের পতন ঘটে। এরপর সেদেশের বিশিষ্ট সমাজতান্ত্রিক নেতা ফেডারিখ ইবার্টের নেতৃত্বে ‘সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান দল’ একটি প্রজাতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে। জার্মানির ভাইমার শহরে এই সরকারের প্রথম অধিবেশন বসেছিল বলে একে ‘ভাইমার প্রজাতন্ত্র’ রূপে অভিহিত করা হয়।
ভাইমার প্রজাতন্ত্রের কার্যাবলি
1919 খ্রিস্টাব্দে গঠিত ভাইমার প্রজাতন্ত্রের উল্লেখযোগ্য দুটি কার্য ছিল- ① মিত্রপক্ষের সঙ্গে ভার্সাই সন্ধির শর্তগুলি নিয়ে আলোচনা করা। এবং জার্মানির অভ্যন্তরীণ এবং আর্থিক সংকটমোচনে উদ্যোগ গ্রহণ।
ব্যর্থতা
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তির পর ঘরে ও বাইরে চাপের মুখে জার্মানবাসী ভাইমার প্রজাতন্ত্রকে কেন্দ্র করে আশায় বুক বেঁধেছিল। কিন্তু এই প্রজাতন্ত্র তাদের সেই আশা পূরণ করতে পারেনি। ভাইমার প্রজাতন্ত্রের পক্ষে জার্মানির খাদ্যসংকট, বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি প্রভৃতি সমস্যার সমাধান করা সম্ভবপর হয়নি। সেই কারণে 1933 খ্রিস্টাব্দে এই প্রজাতন্ত্রের অবসান ঘটে। উত্থান ঘটে হিটলারের নেতৃত্বাধীন নাতসি দলের।