পৃথিবী হয়তো গেছে মরে- কবির এই সংশয়ের কারণ কী? পৃথিবী যদি বেঁচে থাকে তবে কীভাবে বেঁচে আছে?

পৃথিবী হয়তো গেছে মরে'- কবির এই সংশয়ের কারণ কী? পৃথিবী যদি বেঁচে থাকে তবে কীভাবে বেঁচে আছে
পৃথিবী হয়তো গেছে মরে’- কবির এই সংশয়ের কারণ কী? পৃথিবী যদি বেঁচে থাকে তবে কীভাবে বেঁচে আছে?
শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘জলই পাষাণ হয়ে আছে’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা থেকে উদ্ধৃতাংশটি গৃহীত।

কারণ

২০০৩ সালে গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মানুষে মানুষে যে হানাহানি শুরু হয়, তাতে মানবিকতা বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। যখন মানুষ মানবিকতার ঊর্ধ্বে ধর্মকে স্থান দেয়, তখন শুরু হয় ধর্মীয় উন্মাদনা, উগ্র জাতীয়তাবাদ। ছড়িয়ে যায় পাশবিক হিংস্রতা। সুন্দর, শান্ত পৃথিবীর মানবতার এই চরম সংকটকালে ভারতের বিদ্বজ্জনেরা বারবার পৃথিবীর সুসামঞ্জস্য পরিচালনার দায়িত্ব পালনকারী রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে ভারতের দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আর্জি জানালেও, রাষ্ট্রপুঞ্জ কোনো প্রতিক্রিয়া জানায় না, তখন কবি গভীর হতাশায় সংশয় প্রকাশ করেন।

পৃথিবী যেভাবে বেঁচে আছে

‘পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন’। যেসময় মানুষ মানবতার অপমান করে, সেইসময় গভীর সংকটের অন্ধকারে আচ্ছন্ন। মানবিকতা আর মূল্যবোধের অবক্ষয়েই পৃথিবী বেঁচে রয়েছে। তার ফলেই পৃথিবীকে আচ্ছন্ন করেছে হিংসার আবিলতা, মৃত্যুর নিষ্ঠুরতা, সারাক্ষণ বোমারু বিমানের সতর্ক পাহারায় যেন গোটা পৃথিবী সন্ত্রস্ত। প্রতি পদক্ষেপে বিপদের ভয়ে শিকড়ছেঁড়া, আশ্রয়হীন মানুষদের নিয়েই পৃথিবী জীবস্মৃত অবস্থায় রয়েছে।

Leave a Comment