ন্যাস্টিক চলন কাকে বলে? উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রকার ন্যাস্টিক চলন উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করো। |
সংজ্ঞা
উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে না হয়ে উদ্দীপকের তীব্রতা অনুসারে হয়, তখন তাকে ন্যাস্টিক চলন বলে।
ন্যাস্টিক চলনের প্রকারভেদ
ন্যাস্টিক চলন নিম্নলিখিত প্রকারের হয়; যেমন-ফোটোন্যাস্টি, থার্মোন্যাস্টি, কেমোন্যাস্টি এবং সিসমোন্যাস্টি।
① ফোটোন্যাস্টি: আলোর তীব্রতার প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের যে চলন হয়, তাকে ফোটোন্যাস্টিক চলন বলে।
উদাহরণ: পদ্মফুল, সূর্যমুখী ফুল প্রভৃতি তীব্র আলোকে ফোটে, আবার কম আলোকে মুদে যায়।
② থার্মোন্যাস্টি: উষ্ণতার তীব্রতার প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে থার্মোন্যাস্টি চলন বলে।
উদাহরণ: টিউলিপ ফুল বেশি উয়তায় ফোটে এবং কম উন্নতায় মুদে যায়।
③ কেমোন্যাস্টি : কোনো রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে সংঘটিত ন্যাস্টিক চলনকে কেমোন্যাস্টি চলন বলে।
উদাহরণ: সূর্যশিশির উদ্ভিদের পাতার রোম প্রোটিনের (পতঙ্গ) সংস্পর্শে আসা মাত্রা পতঙ্গের দিকে বেঁকে যায় এবং পতঙ্গকে আবদ্ধ করে।
④ সিসমোন্যাস্টি: স্পর্শ, ঘর্ষণ বা আঘাতের ফলে যে ন্যাস্টিক চলন হয়, তাকে সিসমোন্যাস্টি চলন বলে।
উদাহরণ : লজ্জাবতী লতার পাতা স্পর্শ করা মাত্র পাতার পত্রকগুলি মুদে যায় বা নুয়ে পড়ে।