নিষেক কাকে বলে? নিষেকের ফলে কীভাবে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি হয় তা সংক্ষেপে আলোচনা করো

নিষেক কাকে বলে? নিষেকের ফলে কীভাবে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি হয় তা সংক্ষেপে আলোচনা করো
নিষেক কাকে বলে? নিষেকের ফলে কীভাবে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি হয় তা সংক্ষেপে আলোচনা করো।

সংজ্ঞা

পুংজনন কোশ ও স্ত্রীজনন কোশের মিলনকে নিষেক বা গর্ভাধান (Fertilization) বলে।

নিষেক এবং নতুন উদ্ভিদ গঠন (Fertilization and development of a new plant)

(i) পরিণত পরাগরেণু পরাগধানী থেকে নির্গত হয়ে গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয়, অর্থাৎ ফুলের পরাগযোগ সম্পন্ন হয়।

(ii) গর্ভমুণ্ড থেকে নিঃসৃত রস শোষণ করে পরাগরেণু স্ফীত হয় এবং পরাগরেণুর অন্তস্তকটি রেণুরন্ধ্রের মধ্য দিয়ে নলের আকারে নির্গত হয়। একে পরাগনালি (pollen tube) বলে।

(iii) পরাগনালি গর্ভদণ্ডের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত হয়ে ডিম্বকে প্রবেশ করে।

(iv) পরাগরেণুর নিউক্লিয়াসটি পরাগনালিতে এসে দুটি পুংজনন কোশ গঠন করে। অপরপক্ষে, ডিম্বকে ডিম্বাণু উৎপন্ন হয়।

(v) পুংজনন কোশ দুটি ডিম্বকের ভূণস্থলীতে এসে একটি ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে, ফলে জাইগোট (2n) উৎপন্ন হয়। অপর পুংজনন কোশটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। সস্যল উদ্ভিদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পুংজনন কোশটি নির্ণীত নিউক্লিয়াসকে (2n) নিষিক্ত করে সস্য (3n) গঠন করে।

(vi) জাইগোটটি বারবার বিভাজিত হয়ে ডিম্বকের মধ্যে ভূণ (embryo) গঠন করে।

(vii) নিষেকের পর ডিম্বকটি বীজ (seed) গঠন করে এবং ডিম্বাশয় বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে ফল (fruit) গঠন করে।

(viii) বীজের মধ্যে ভবিষ্যৎ উদ্ভিদ বা ভ্রুণ উপস্থিত থাকে, যা অনুকূল পরিবেশে অঙ্কুরিত হয়ে শিশু উদ্ভিদ বা চারাগাছ গঠন করে।

Leave a Comment