দ্বাদশ শ্রেণি ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় ওপনিবেশিক ভারতে শাসন ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর

সূচিপত্র

দ্বাদশ শ্রেণি ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় ওপনিবেশিক ভারতে শাসন ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর
দ্বাদশ শ্রেণি ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় ওপনিবেশিক ভারতে শাসন ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর

মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন’ (Morley-Minto Reforms) কবে পাস হয়?

মলে-মিন্টো সংস্কার আইন ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে পাস হয়।

মলে-মিন্টো কে ছিলেন?

১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে জন মর্লে ছিলেন ভারতসচিব এবং লর্ড মিন্টো ছিলেন ভারতের ভাইসরয় বা বড়োলাট। 

কোন্ আইন ‘কাউন্সিল আইন’ নামে পরিচিত?

১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইন অথবা মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন ‘কাউন্সিল আইন’ নামে পরিচিত।

মলে-মিন্টো আইনে কী বিষয়ে সংরক্ষণ করা হয়?

মলে-মিন্টো আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক নির্বাচকমণ্ডলী গঠনের কথা বলা হয়। এই পৃথক আসন এবং অধিকার সংরক্ষণ সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দিয়েছিল।

কোন্ আইনে প্রথম মুসলিম সম্প্রদায়কে পৃথক নির্বাচনের অধিকার দেওয়া হয়?

১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইনে প্রথম মুসলিম সম্প্রদায়কে যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করে পৃথক নির্বাচনের অধিকার দেওয়া হয়।

মর্লে-মিন্টো আইনের দুটি ত্রুটি উল্লেখ করো।

১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত মর্লে-মিন্টো আইনের দুটি ত্রুটি হল- এর দ্বারা কোনো দায়িত্বশীল সরকার ও শাসনকাঠামো ভারতে গড়ে ওঠেনি।

মুসলিমদের পৃথক নির্বাচন নীতিকে স্বীকার করে পরিকল্পিতভাবে এদেশে সাম্প্রদায়িকতা এবং রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার বীজ বপন করা হয়েছিল ইত্যাদি।

‘মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার আইন’ কত খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত হয়?

মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার আইন ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত হয়।

কোন্ আইনের উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় আইনসভা গঠিত হয়? অথবা, কোন্ ভারত শাসন আইনে প্রথম দায়িত্বশীল সরকার গঠনের কথা বলা হয়?

১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইন তথা মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার আইনের উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় আইনসভা গঠিত হয়। 

‘মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার আইন’-এর সময় ভারতসচিব এবং বড়োলাট কে ছিলেন?

‘মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার আইন’-এর সময় ভারতসচিব ছিলেন মন্টেগু এবং বড়োলাট ছিলেন চেমসফোর্ড।

১৯৩৫-এর ভারত শাসন আইনে কার হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হয়?

১৯৩৫-এর ভারত শাসন আইনে গভর্নর জেনারেলের হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হয়। স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা এবং স্ববিবেচনাপ্রসূত ক্ষমতা সাপেক্ষে নিজ কর্মক্ষেত্র ব্যতীত আইনসভা এবং মন্ত্রীপরিষদের কাজে হস্তক্ষেপের পূর্ণ অধিকার গভর্নর জেনারেলের ছিল।

‘রাওলাট কমিটি’ কী? অথবা, ‘সিডিশন কমিটি’ কী?

ভারতে সর্বপ্রকার বৈপ্লবিক কার্যকলাপ ও রাজনৈতিক আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ সরকার ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের বিচারপতি স্যার সিডনি রাওলাট-এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে, যা রাওলাট কমিটি বা সিডিশন কমিটি নামে পরিচিত।

‘রাওলাট আইন’ (Rowlatt Act) কী?

ভারতে বৈপ্লবিক আন্দোলনের প্রসার রোধ করার জন্য ব্রিটিশ সরকার ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৮ মার্চ রাওলাট আইন পাস করে, যাতে বলা হয়-

সরকারবিরোধী যে-কোনো প্রচারকার্য আইনত দণ্ডনীয়।

শুধুমাত্র সন্দেহবশত যে-কোনো ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার এবং বিনা বিচারে আটক ও নির্বাসন দেওয়া যাবে। বিচারকের রায়ের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা যাবে না ইত্যাদি।

রাওলাট আইন কবে পাস হয়?

রাওলাট আইন ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৮ মার্চ পাস হয়।

রাওলাট আইনের পিছনে কী উদ্দেশ্য ছিল?

ভারতে ব্রিটিশবিরোধী গণ আন্দোলন ও বৈপ্লবিক কার্যকলাপ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়াই ছিল রাওলাট আইনের প্রধান উদ্দেশ্য।

রাওলাট আইনের শর্তগুলি কী ছিল? অথবা, রাওলাট আইনের মূল বক্তব্য কী ছিল?

বিচারপতি সিডনি রাওলাট-এর সুপারিশের ভিত্তিতে ঘোষিত হয় যে- পুলিশি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এবং শুধুমাত্র সন্দেহের বশবর্তী হয়ে যে-কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিনা বিচারে কারারুদ্ধ করা যাবে। এই গ্রেফতারের বিরুদ্ধে কোনো আবেদন করা যাবে না। বিচারের জন্য বিশেষ আদালত গঠন করা হবে।

‘রাওলাট সত্যাগ্রহ’ কী?

কুখ্যাত রাওলাট আইনের প্রতিবাদে গান্ধিজির সভাপতিত্বে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ‘সত্যাগ্রহ সভা’ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বিভিন্ন স্থানে স্বতঃস্ফূর্ত গণ আন্দোলন গড়ে ওঠে। রাওলাট আইনবিরোধী এই আন্দোলন রাওলাট সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত।

রাওলাট সত্যাগ্রহের সূচনা কে করেন এবং কেন?

১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে গান্ধিজি রাওলাট সত্যাগ্রহের সূচনা করেন। রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ বিভিন্ন স্থানে রাওলাট সত্যাগ্রহ পালিত হয়।

১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে জালিয়ানওয়ালাবাগে কী ঘটেছিল?

১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘেরা মাঠে প্রায় ১০ হাজার মানুষের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ইংরেজ পুলিশবাহিনী মাইকেল ডায়ারের নির্দেশে অতর্কিতে ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে। এতে বহু মানুষ নিহত ও আহত হন।

জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের সময় পাঞ্জাবের মুখ্য প্রশাসক কে ছিলেন এবং কে গুলিবর্ষণের আদেশ দিয়েছিলেন?

জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের সময় পাঞ্জাবের মুখ্য প্রশাসক ছিলেন মাইকেল ‘ও ডায়ার এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ছিলেন রেজিন্যাল্ড ডায়ার, যিনি গুলি চালানোর আদেশ দিয়েছিলেন। 

রবীন্দ্রনাথ কবে ‘নাইট’ উপাধি ত্যাগ করেন? অথবা, কে, কোন ঘটনার প্রতিবাদে ইংরেজদের দেওয়া ‘নাইট’ উপাধি ত্যাগ করেন?

জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ৩০ মে, ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাইট উপাধি ত্যাগ করেন।

ব্রিটিশ সরকার কাকে ‘কাইজার-ই-হিন্দ’ উপাধি প্রদান করেছিল?

ব্রিটিশ সরকার গান্ধিজিকে ‘কাইজার-ই-হিন্দ’ উপাধি প্রদান করেছিল।

AITUC কবে গঠিত হয়?

AITUC ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে গঠিত হয়।

AITUC কবে গঠিত হয় এবং প্রথম সভাপতি কে?

AITUC ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে গঠিত হয় এবং এর প্রধান সভাপতি ছিলেন লালা লাজপত রায়।

‘মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা’ বলতে কী বোঝায়?

শ্রমিক আন্দোলনে সাম্যবাদের প্রভাব লক্ষ করে ব্রিটিশ সরকার ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ২০ মার্চ মুজফ্ফর আহমেদ, পি সি যোশি, ধরণী গোস্বামী এবং ব্রিটিশ কমিউনিস্ট নেতা বেঞ্জামিন ব্রাডলি, ফিলিপ স্প্র্যাট প্রমুখ ৩৩ জন শ্রমিক নেতাকে গ্রেফতার করলে শুরু হয় মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা। ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে মামলার রায়ে অধিকাংশ বন্দি দোষী সাব্যস্ত হন এবং তাঁদের দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড হয়। উল্লেখ্য, এই মামলার রায়ের ফলে ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি ‘নিষিদ্ধ’ বলে ঘোষিত হয়।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় কত জন শ্রমিক নেতা অভিযুক্ত হন?

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় ৩৩ জন শ্রমিক নেতা অভিযুক্ত হন।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত দুজন শ্রমিক নেতার নাম করো।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত দুজন শ্রমিক নেতার নাম হল- মুজফ্ফর আহমেদ এবং পিসি যোশি।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত দুজন বিদেশি অভিযুক্তের নাম লেখো।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত ৩৩ জন কমিউনিস্ট নেতার মধ্যে ৩ জন বিদেশি (ব্রিটিশ) নাগরিক ছিলেন। এঁরা হলেন- ফিলিপ স্প্র্যাট, বেঞ্জামিন ফ্রান্সিস ব্রাডলি এবং লেস্টার হাচিনসন।

সিমলা সাক্ষাৎকারে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব কে দেন?

সিমলা সাক্ষাৎকারে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আগা খান। 

সিমলা বৈঠক কবে অনুষ্ঠিত হয় এবং কারা সভাপতিত্ব করেন?

মুসলিম লিগের নেতা আগা খানের নেতৃত্বে ৩৫ জন অভিজাত মুসলিম ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের ১ অক্টোবর মুসলিমদের স্বার্থরক্ষার দাবিতে ভাইসরয় লর্ড মিন্টোর সঙ্গে বৈঠক করেন।

সিমলা দৌত্য’ কী?

১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের ১ অক্টোবর আগা খানের নেতৃত্বে ৩৫ জন মুসলিম প্রতিনিধির একটি দল আলিগড় কলেজের অধ্যক্ষ আর্চিবোল্ড রচিত এক স্মারকলিপি মারফত মুসলিম সমাজের জন্য কিছু সুযোগসুবিধা আদায়ের দাবিতে সিমলাতে ভাইসরয় লর্ড মিন্টোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একটি প্রতিবেদন পত্র দেন, যা সিমলা দৌত্য বা সিমলা ডেপুটেশন (Simla Deputation) নামে খ্যাত।

বঙ্গভঙ্গ কবে রদ হয়?.

বঙ্গভঙ্গ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে রদ হয়।

১৯১৬ খ্রিস্টাব্দের লখনউ কংগ্রেসের গুরুত্ব কী ছিল?

১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের লখনউ অধিবেশনে চরমপন্থী ও নরমপন্থী কংগ্রেসীদের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটে। ফলে জাতীয় আন্দোলনে কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধি পায়।

লখনউ চুক্তি কবে, কাদের মধ্যে সম্পাদিত হয়? অথবা, কোন্ দুটি দল ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে লখনউ চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল?

১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের মধ্যে লখনউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

খিলাফৎ আন্দোলনের দুজন প্রধান নেতার নাম লেখো।

খিলাফৎ আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে দুজন প্রধান নেতা হলেন-মৌলানা মহম্মদ আলি এবং মৌলানা সৌকত আলি। 

‘আলি ভ্রাতৃদ্বয়’ নামে কারা পরিচিত ছিলেন?

খিলাফৎ আন্দোলনের দুই নেতা- মৌলানা মহম্মদ আলি এবং মৌলানা সৌকত আলি ভারত ইতিহাসে আলি ভ্রাতৃদ্বয় নামে পরিচিত।

‘চৌরিচৌরার ঘটনা’ কী ছিল? অথবা, গান্ধিজি কেন অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন?

১৯২২ খ্রিস্টাব্দের ৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর জেলার চৌরিচৌরা নামক স্থানে উত্তেজিত জনতা থানায় অগ্নিসংযোগ করলে ২২ জন পুলিশের মৃত্যু হয়-যা চৌরিচৌরা ঘটনা নামে পরিচিত। অহিংস পদ্ধতিতে চলা আন্দোলনে হিংসার প্রবেশ ঘটলে গান্ধিজি মর্মাহত হন এবং আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন (১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯২২ খ্রি.)।

স্বরাজ্য দল কারা, কত খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন?

মোতিলাল নেহরু ও চিত্তরঞ্জন দাস ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে স্বরাজ্য দল প্রতিষ্ঠা করেন।

কবে এবং কেন ‘সাইমন কমিশন’ গঠিত হয়েছিল?

১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয়দের স্বার্থে সাংবিধানিক সংস্কারের প্রয়োজনে সাইমন কমিশন গঠিত হয়েছিল।

ভারতীয়রা ‘সাইমন কমিশন’ বর্জন করেছিল কেন?

১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার ভারতে শাসনতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য ব্রিটেনের প্রখ্যাত সংবিধান বিশেষজ্ঞ স্যার জন সাইমনের নেতৃত্বে ৭ জন সদস্যবিশিষ্ট যে সাইমন কমিশন গঠন করে, তাতে কোনো ভারতীয় সদস্য না থাকায় ভারতীয়রা একে ‘জাতীয় অপমান’ বলে গণ্য করে এই কমিশন বর্জন করেছিল। 

মোট কয়টি গোলটেবিল বৈঠক হয়?

মোট ৩টি গোলটেবিল বৈঠক হয়। 

কে, কবে এবং কেন ‘চোদ্দো দফা দাবি’ (Fourteen Points) পেশ করেন?

১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে দিল্লিতে মুসলিম লিগের সম্মেলনে মহম্মদ আলি জিন্নাহ সভাপতি হিসেবে ভারতে মুসলমানদের স্বার্থরক্ষার জন্য চোদ্দো দফা দাবি পেশ করেন। এর মাধ্যমে তিনি কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভায় মুসলিমদের জন্য আসন সংরক্ষণ এবং পৃথক নির্বাচনের দাবি করেছিলেন।

চোদ্দো দফা দাবির মূল বিষয় কী ছিল?

চোদ্দো দফা দাবির মূল বিষয়সমূহ ছিল- আইনসভাগুলিতে মুসলিম প্রতিনিধি গ্রহণ এবং তাদের জন্য পৃথক নির্বাচনের দাবি।

গান্ধি-আরউইন চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়? 

গান্ধি-আরউইন চুক্তি ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ৫ মার্চ স্বাক্ষরিত হয়।

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কারা দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকে যোগদান করেন?

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গান্ধিজি এবং সরোজিনী নাইডু দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকে যোগদান করেন। – 

‘বাংলার ডান্ডি’ কাকে বলা হয়?

কলকাতা থেকে চুঁচুড়া পর্যন্ত গঙ্গার দুই তীরবর্তী অঞ্চলকে বাংলার ডান্ডি বলা হয়।

‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা’ (Communal Award) কী?

ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনকে দুর্বল করার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র‍্যামসে ম্যাকডোনাল্ড ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগস্ট ভারতীয়দের মুসলমান, শিখ, ভারতীয় খ্রিস্টান, অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান প্রভৃতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং হিন্দু সম্প্রদায়কে বর্ণহিন্দু ও অনুন্নত হিন্দু- এই দুই সম্প্রদায়ে বিভক্ত করে আইনসভায় পৃথক নির্বাচনের নীতি ঘোষণা করেন, যা সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নামে পরিচিত।

কবে ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা’ (Communal Award) ঘোষিত হয়েছিল? অথবা, কে, কবে ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি’ ঘোষণা করেন?

১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগস্ট ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র‍্যামসে ম্যাকডোনাল্ড ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি’ ঘোষণা করেন।

‘পুনা চুক্তি’ কত খ্রিস্টাব্দে স্বাক্ষরিত হয়?

পুনা চুক্তি ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ২৪ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত হয় গান্ধিজি এবং বি আর আম্বেদকরের মধ্যে।

১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ‘পুনা চুক্তি’ কেন হয়েছিল?

হিন্দু সম্প্রদায়ের অখণ্ডতা বজায় রাখতে এবং অনুন্নত হিন্দুদের পৃথক নির্বাচন নীতি পরিত্যাগ করতে ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে ‘পুনা চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়েছিল। পুনা চুক্তির শর্তগুলি গান্ধিজিকে কিছুটা হলেও সন্তুষ্ট করে এবং তিনি অনশন ভঙ্গ করেন।

বি আর আম্বেদকর কোন্ সম্প্রদায়ের নেতা ছিলেন?

বি আর আম্বেদকর মাহার সম্প্রদায়ের নেতা ছিলেন।

‘মাহাদ মার্চ’ বলতে কী বোঝো?

মহারাষ্ট্রের কোলাবা জেলার চৌদার জলাশয়ের জল যাতে অস্পৃশ্য সম্প্রদায়ের মানুষেরা ব্যবহার করতে পারে, সেই উদ্দেশ্যে দলিত নেতা আম্বেদকরের নেতৃত্বে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের ২০ মার্চ দশ হাজার মানুষের মাহাদ সত্যাগ্রহ আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়-যা মাহাদ মার্চ নামে পরিচিত। উল্লেখ্য, এখানেই জনতা আম্বেদকরকে বাবা সাহেব বলে অভিহিত করে।

‘স্বত্ববিলোপ নীতি’ কে প্রবর্তন করেন?

লর্ড ডালহৌসি ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে স্বত্ববিলোপ নীতি প্রবর্তন করেন।

‘স্বত্ববিলোপ নীতি’ (Doctrine of Lapse) কী?

ব্রিটিশ কোম্পানি আশ্রিত কোনো দেশীয় রাজ্যের রাজার পুত্রসন্তান না থাকলে সেই রাজা কোনো দত্তকপুত্র গ্রহণ করতে পারবেন না এবং রাজ্যটি সরাসরি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হবে- লর্ড ডালহৌসির এই সাম্রাজ্যবাদী নীতিই স্বত্ববিলোপ নীতি নামে পরিচিত।

‘স্বত্ববিলোপ নীতি’-র মূল কথা কী?

সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসি প্রবর্তিত (১৮৪৮ খ্রি.) স্বত্ববিলোপ নীতির মূল কথা হল-কোম্পানির সৃষ্ট কোনো দেশীয় রাজ্যের রাজা অপুত্রক অবস্থায় মারা গেলে সেই রাজ্য কোম্পানির অধিকারে আসবে। ওই রাজ্যের রাজার কোনো দত্তক পুত্রের উত্তরাধিকার স্বীকার করা হবে না। উল্লেখ্য, কোম্পানির আশ্রিত করদ রাজ্য এবং স্বাধীন দেশীয় রাজ্যের ক্ষেত্রে এই নীতি প্রযুক্ত হবে না।

‘স্বত্ববিলোপ নীতি’ প্রয়োগ করে ডালহৌসি কোন্ কোন্ রাজ্য দখল করেন?

লর্ড ডালহৌসি স্বত্ববিলোপ নীতির দ্বারা সাতারা (১৮৪৮ খ্রি.), সম্বলপুর (১৮৪৯ খ্রি.), বাঘাট (১৮৫০ খ্রি.), উদয়পুর (১৮৫২ খ্রি.), ঝাঁসি (১৮৫৪ খ্রি.), নাগপুর (১৮৫৪ খ্রি.) তাঞ্জোর (১৮৫৫ খ্রি.) প্রভৃতি দেশীয় রাজ্য অধিগ্রহণ বা দখল করেন।

ঔপনিবেশিক ভারতে ‘দেশীয় রাজ্য’ বলতে কী বোঝানো হত?

ব্রিটিশ আমলে ঔপনিবেশিক আগ্রাসনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের শাসকরা ইংরেজদের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এইভাবে দেশীয় শাসকরা ইংরেজ প্রভুত্ব স্বীকার করেও নিজ নিজ রাজ্য শাসন করতেন। এই রাজ্যগুলি দেশীয় রাজ্য নামে পরিচিত।

চেম্বার অফ প্রিন্সেস’ কী?

দেশীয় রাজ্যগুলির পক্ষ থেকে ব্রিটিশ সরকারকে পরামর্শ দেওয়া এবং উভয়ের সম্পর্ক নির্ধারণের উদ্দেশ্যে ১২০ জন সদস্যকে নিয়ে যে সংগঠন গড়ে ওঠে, তা চেম্বার অফ প্রিন্সেস নামে পরিচিত।

‘এটলির ঘোষণা’ কী?

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ২০ ফেব্রুয়ারি দেশীয় রাজ্যগুলির প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি যে ঘোষণা করেন, তা এটলির ঘোষণা নামে পরিচিত। এই ঘোষণায়- দায়িত্বশীল নেতা বা প্রদেশ ও দেশীয় রাজ্যগুলির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছিল।

স্বাধীনতার পরবর্তীকালে কোন্ কোন্ দেশীয় রাজ্য ভারতভুক্ত হয়? 

স্বাধীনতার পরবর্তীকালে হায়দরাবাদ, কাশ্মীর ও জুনাগড় ভারতভুক্ত হয়।

কাশ্মীরের ভারত অন্তর্ভুক্তির সময় কাশ্মীরের রাজা কে ছিলেন?

কাশ্মীরের ভারত অন্তর্ভুক্তির সময় কাশ্মীরের রাজা ছিলেন হরি সিং। 

গোয়া-দমন-দিউ কখন ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়?

গোয়া-দমন-দিউ ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়।

কাকে, কেন ভারতের ‘লৌহমানব’ বলা হয়?

স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও অনমনীয় মনোভাব গ্রহণ করেন এবং প্রয়োজনে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে তিনি কয়েকটি দেশীয় রাজ্যকে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করেন-তাঁর এই চারিত্রিক দৃঢ়তার জন্য তাঁকে জার্মান নেতা বিসমার্কের সঙ্গে তুলনা করে লৌহমানব অভিধায় ভূষিত করা হয়।

কবে, কোথায় ‘খেদা সত্যাগ্রহ’ শুরু হয়?

১৯১৮ খ্রিস্টাব্দের ২২ মার্চ গুজরাটের খেদা জেলায় মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে খেদা সত্যাগ্রহ শুরু হয়।

বিংশ শতকে বাংলায় কবে মন্বন্তর হয়েছিল?

১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে (১৩৫০ বঙ্গাব্দে) বাংলায় মন্বন্তর হয়েছিল।

Leave a Comment