দ্বাদশ শ্রেণি ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় অব উপনিবেশিকরণ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর

সূচিপত্র

দ্বাদশ শ্রেণি ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় অব উপনিবেশিকরণ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর
দ্বাদশ শ্রেণি ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় অব উপনিবেশিকরণ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে বি-উপনিবেশিকরণ বলতে কী বোঝো? অথবা, অব-উপনিবেশিকতাবাদ (Decolonisation) বলতে কী বোঝো?

বি-উপনিবেশায়ন বা অব-উপনিবেশবাদ (Decolonisation) বলতে বোঝায় একটি প্রক্রিয়াকে, যে ক্ষেত্রে সাম্রাজ্যবাদী শাসক তাদের ঔপনিবেশিক ক্ষমতা এবং প্রতিপত্তি প্রত্যাহার করে নেয় কিংবা সক্রিয় মুক্তিসংগ্রাম এবং গণ আন্দোলনের চাপে শাসকগোষ্ঠীর ঔপনিবেশিক ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি হ্রাস পায়। এককথায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকায় সাম্রাজ্যবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার এই প্রক্রিয়াকে অব-উপনিবেশবাদ (Decolonisation) বলে।

অব-উপনিবেশিকরণ শব্দটি কে এবং কবে প্রথম ব্যবহার করেন?

মরিৎজ জুলিয়াস বন (Moritz Julius Bonn) ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে প্রথম অব-উপনিবেশিকরণ শব্দটি ব্যবহার করেন।

‘তৃতীয় বিশ্ব’ কী?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর (১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ) এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার সদ্যস্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশগুলিকে তৃতীয় বিশ্ব (Third World) বলা হয়। যেমন- ভারতবর্ষ।

আলজেরিয়া কবে, কার শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে?

আলজেরিয়া ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের ৫ জুলাই ফরাসি শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

দ্য গল কে ছিলেন?

দ্য গল ছিলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি।

স্বাধীন আলজেরিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?

স্বাধীন আলজেরিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন আহমেদ বেন বেল্লা।

বেন বেল্লা কে ছিলেন?

আহমেদ বেন বেল্লা (১৯১৬-২০১২ খ্রিস্টাব্দ) ছিলেন স্বাধীন আলজেরিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি। এ ছাড়াও তিনি ন্যাশানাল লিবারেশন ফ্রন্টের অন্যতম নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

ন্যাশানাল লিবারেশন ফ্রন্টের অন্যতম নেতার নাম কী?

ন্যাশানাল লিবারেশন ফ্রন্টের অন্যতম নেতার নাম হল বেন বেল্লা।

আফ্রিকায় প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীনতা লাভ করে কোন দেশ?

আফ্রিকায় প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ রাষ্ট্র হিসেবে ঘানা স্বাধীনতা লাভ করে। 

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ রাষ্ট্রপ্রধানের নাম কী?

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ রাষ্ট্রপ্রধান হলেন নেলসন ম্যান্ডেলা।

সুকর্ণ প্রতিষ্ঠিত দলটির নাম কী?

সুকর্ণ প্রতিষ্ঠিত দলটির নাম ন্যাশানাল পার্টি।

স্বাধীন ইন্দোনেশিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

স্বাধীন ইন্দোনেশিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ড. সুকর্ণ।

পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি কে গঠন করেন?

পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি গঠন করেন জুলফিকার আলি ভুট্টো।

২১ ফেব্রুয়ারি তারিখটি স্মরণীয় কেন?

আন্তর্জাতিক ভাষা আন্দোলনের জন্য ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটি স্মরণীয় হয়ে আছে। জব্বার, সালাম, বরকত, শফিউর রহমান এবং রফিকউদ্দিন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পাঁচ জন ছাত্র পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এই কারণে ওই পাঁচ যুবকের উদ্দেশে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে আন্তর্জাতিক

ভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশ কবে উদ্ভূত হয়?

১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়।

স্বাধীন বাংলাদেশের ‘জাতির পিতা’ কাকে বলা হয়?

স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতা বলা হয় শেখ মুজিবর রহমান-কে।

বাংলাদেশের প্রকৃত ও নিয়মতান্ত্রিক শাসক কে?

বাংলাদেশের প্রকৃত শাসক হলেন প্রধানমন্ত্রী (বর্তমানে শেখ হাসিনা) ও নিয়মতান্ত্রিক শাসক হলেন রাষ্ট্রপতি (বর্তমানে মহম্মদ আবদুল হামিদ)।

ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?

ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ।

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কবে, কার নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল?

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে জওহরলাল নেহরু-র নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল।

রাজ্যের নিয়মতান্ত্রিক ও প্রকৃত শাসক কারা?

রাজ্যের নিয়মতান্ত্রিক শাসক হলেন রাজ্যপাল এবং প্রকৃত শাসক হলেন মুখ্যমন্ত্রী।

স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচন কবে হয়েছিল?

স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচন ১৯৫১-১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল।

স্বাধীনতালাভের অব্যবহিত পরে ভারতের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা উল্লেখ করো।

স্বাধীনতালাভের পরে পরেই ভারত কয়েকটি জটিল সমস্যার সম্মুখীন হয়। যথা- সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, খাদ্যাভাব, আর্থিক সংকট ইত্যাদি। উদ্বাস্তু সমস্যা,

দিল্লি চুক্তি কবে, কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়?

দিল্লি চুক্তি ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ৮ এপ্রিল ভারতের জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের লিয়াকৎ আলি খানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।

ভারতীয় পরিকল্পনা কমিশন কবে গঠিত হয়?

প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর উদ্যোগে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ভারতে পরিকল্পনা কমিশন গঠিত হয়।

অর্থনৈতিক উদারনীতি’ কী? অথবা, ‘অর্থনৈতিক উদারীকরণ’ বলতে কী বোঝো?

ভারতের অর্থনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিং ভারতীয় অর্থনীতিতে সরাসরি আন্তর্জাতিক পুঁজি বিনিয়োগের বাজার খুলে দেন, বেসরকারি উদ্যোগকে উৎসাহ দেন এবং করব্যবস্থার সংস্কার সাধন করেন – এই সমস্ত পদক্ষেপ ভারতের অর্থনীতির ইতিহাসে মনোমোহিনী সংস্কার বা অর্থনৈতিক উদারনীতি বা উদারীকরণ নামে পরিচিত। 

‘অর্থনৈতিক উদারীকরণ’ নীতি কার সময়ে প্রবর্তিত হয়?

অর্থনৈতিক উদারীকরণ নীতি ড. মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে প্রবর্তিত হয়।

ভারত সরকারের বরাদ্দ অর্থকে যথাযথভাবে ব্যয় করার জন্য কীভাবে ভাগ করা যায়?

ভারত সরকারের বরাদ্দ অর্থকে দু-ভাগে ভাগ করা যায়- কেন্দ্রীয় তালিকাভুক্ত বিষয় এবং① রাজ্য তালিকাভুক্ত বিষয়।

স্বাধীন ভারতের প্রেক্ষিতে ‘মিশ্র অর্থনীতি’ (Mixed Economy) বলতে কী বোঝো?

মিশ্র অর্থনীতি বলতে বোঝায় এমন এক অর্থব্যবস্থাকে, যেখানে রাষ্ট্রীয় মালিকানা অর্থাৎ সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তি মালিকানা অর্থাৎ বেসরকারি উদ্যোগের সহাবস্থান লক্ষ করা যায়। মিশ্র অর্থনীতির একটি উদাহরণ হিসেবে ভারতবর্ষে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের পর আণবিক অস্ত্র, রেলব্যবস্থা প্রভৃতি ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ লক্ষ করা যায়।

স্বাধীন ভারতে কবে, কার নেতৃত্বে, কেন জাতীয় পরিকল্পনা কমিশন গঠিত হয়েছিল?

স্বাধীন ভারতে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে ভারতের আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় পরিকল্পনা কমিশন গঠিত হয়েছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল- জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও উৎপাদন বৃদ্ধি। 

কোন্ বছর ভারতে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়? অথবা, ভারতে কে, কবে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন?

১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে জওহরলাল নেহরু ভারতে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় গড়ে ওঠা তিনটি লৌহ-ইস্পাত কারখানার নাম লেখো।

দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় হিন্দুস্তান স্টিল লিমিটেড কোম্পানির অধীনে তিনটি ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠে- ① জার্মানির সহযোগিতায় উড়িষ্যার রাউরকেল্লায় ইস্পাত কারখানা (১৯৫৬ খ্রি.), ব্রিটেনের সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা (১৯৫৬ খ্রি.) এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগিতায় মধ্যপ্রদেশের ভিলাই ইস্পাত কারখানা (১৯৫৬ খ্রি.)।

তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ফলাফল কী হয়েছিল?

তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দ্বারা সমাজের কয়েকটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করা হয়েছিল- ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদের কালপর্বে সমাজে যে আর্থিক স্থবিরতার জন্ম হয়েছিল তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দ্বারা তা সম্পূর্ণভাবে কেটে গিয়েছিল, বৈচিত্র্যময় শিল্পসমৃদ্ধি সমাজে আশীর্বাদস্বরূপ হয়ে উঠেছিল এবং ①জাতীয় আয় ৬২.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।

ভারতে গড়ে ওঠা দুটি ভারী শিল্পের নাম লেখো।

ভারতে গড়ে ওঠা দুটি ভারী শিল্পের নাম হল- লৌহ-ইস্পাত শিল্প এবং কাগজ শিল্প। 

‘সবুজ বিপ্লব’ (Green Revolution) বলতে কী বোঝায়?

সার ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষিক্ষেত্রে উচ্চফলনশীল বীজ দ্বারা শস্য উৎপাদন ও তার ফলে উৎপাদনক্ষেত্রে যে আমূল পরিবর্তন ঘটে, তা সবুজ বিপ্লব বা Green Revolution নামে পরিচিত।

হোমি জাহাঙ্গির ভাবা কে ছিলেন?

১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর উদ্যোগে প্রখ্যাত পরমাণুবিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার সভাপতিত্বে ভারতে পরমাণু শক্তি কমিশন গঠিত হয়। এই পরমাণু কমিশনের নিরন্তর গবেষণার ভিত্তিতে ভারত বিশ্বমানের প্রযুক্তিকৌশল তৈরি করে। উল্লেখ্য, হোমি জাহাঙ্গির ভাবা ভারতে পরমাণু কর্মসূচির জনক নামে অভিহিত হন।

CSIR-এর পুরো নাম কী?

CSIR-এর পুরো নাম হল- The Council of Scientific and Industrial Research.

কে CSIR প্রতিষ্ঠা করেন? 

জওহরলাল নেহরু বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে CSIR প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল-বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিকে আর্থিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা।

কবে, কার উদ্যোগে এবং ভারতের কোথায় প্রথম IIT প্রতিষ্ঠিত হয়?

জওহরলাল নেহরু শিল্পের অগ্রগতির জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রযুক্তিবিদদের সংখ্যাবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রথম IT প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দের খড়গপুরে সর্বপ্রথম Indian Institute of Technology গড়ে তোলা হয়েছিল।

কাকে ‘ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির জনক’ বলা হয়?

পদার্থবিদ ড. বিক্রম সারাভাই-কে ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির জনক বলা হয়। 

কবে ও কোথায় ভারতের প্রথম পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানো হয়?

১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের ১৮ মে রাজস্থানের পোখরানে ভারতের প্রথম পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

ভারতবর্ষে কবে দূরদর্শন সম্প্রচার শুরু হয়?

ভারতবর্ষে ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে দূরদর্শন সম্প্রচার শুরু হয়।

নেহরু-মহলানবিশ মডেল’ কী?

প্রখ্যাত রাশিবিজ্ঞানী ও পরিসংখ্যানবিদ প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে রুশ অর্থনীতির অনুকরণে ভারী শিল্পের প্রসারের উপর গুরুত্ব দিয়ে একটি উন্নয়নের মডেল তৈরি করেছিলেন, যা জওহরলাল নেহরু কিছু সংশোধন করে দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় প্রয়োগ করেন- এই মডেলটি পরিচিত নেহরু-মহলানবিশ মডেল নামে।

‘সার্ক’ কবে, কার উদ্যোগে গঠিত হয়?

১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান-এর উদ্যোগে সার্ক গঠিত হয়।

সার্ক’ (SAARC) কী?

সার্ক হল দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতামূলক একটি সংস্থা। দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশ, যথা-ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে পারস্পরিক সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে অর্থনৈতিক, সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে সার্ক নামক সংগঠনটি গড়ে তুলেছিল।

কোন্ কোন্ দেশগুলি নিয়ে সার্ক গঠিত?

সার্কের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৮টি। ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের সঙ্গে নবসংযোজিত দেশটি হল আফগানিস্তান।

সার্ক গঠনের দুটি লক্ষ্য লেখো।

সার্কের দুটি উল্লেখযোগ্য লক্ষ্য হল- সদস্যরাষ্ট্রগুলির অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ঘটানো এবং সদস্যরাষ্ট্রগুলির মধ্যে যৌথ আত্মনির্ভরতা গড়ে তোলা।

Leave a Comment