দশম শ্রেণি বাংলা জ্ঞানচক্ষু গল্প ব্যাকরণ কারক অকারক সম্পর্ক ব্যাসবাক্যসহ সমাস বাক্য পরিবর্তন ও বাচ্য পরিবর্তন |
রেখাঙ্কিত পদগুলির কারক/অকারক সম্পর্ক এবং বিভক্তি ও অনুসর্গ নির্ণয় করো
১. কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল।
তপনের-সম্বন্ধপদে ‘এর’ বিভক্তি।
২. সেই তিনি নাকি বই লেখেন।
বই-কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৩. কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের।
জ্ঞানচক্ষু-কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৪. মামার বাড়িতে এই বিয়ে উপলক্ষ্যেই এসেছে তপন।
বাড়িতে-অধিকরণ কারকে ‘তে’ বিভক্তি।
৫. এই কথাটাই ভাবছে তপন রাত-দিন।
রাত-দিন-অধিকরণ কারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৬. মামার বাড়ি থেকে বাড়িতে চলে এসেও।
বাড়ি থেকে-অপাদান কারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ।
৭. তপন, তোমার গল্প তো দিব্যি হয়েছে।
তপন-সম্বোধন পদে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৮. বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা।
বিকেলে-অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
৯. তপন বইটা ফেলে রেখে চলে যায়।
বইটা-কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি, ‘টা’ নির্দেশক।
১০. ছোটোমাসি, একটা গল্প লিখেছি।
ছোটোমাসি-সম্বোধন পদে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
রেখাঙ্কিত পদগুলির ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো
১. কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের।
উলটোপালটা উলটো ও পালটা দ্বন্দু সমাস।
৩. তাই মেসো শ্বশুরবাড়িতে এসে রয়েছেন কদিন।
শ্বশুরবাড়িতে শ্বশুরের বাড়ি-সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস, সেখানে।
৪. আমি বললে ‘সন্ধ্যাতারার’ সম্পাদক ‘না’ করতে পারবে না।
সম্পাদক সম্পাদনা করেন যিনি-উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
৫. এই কথাটাই ভাবছে তপন রাত-দিন।
রাত-দিন রাত ও দিন-দ্বন্দ্ব সমাস।
৬. ছোটোমাসি, একটা গল্প লিখেছি।
ছোটোমাসি ছোটো যে মাসি-কর্মধারয় সমাস।
৭. পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?
অলৌকিক নয় লৌকিক- নতৎপুরুষ সমাস।
৮. তপনের অপরিচিত।
অপরিচিত নয় পরিচিত-নতৎপুরুষ সমাস।
৯ . গল্পটিকে আগাগোড়াই কারেকশান করেছেন।
ঠাট্টা-তামাশা – ঠাট্টা-তামাশার ঠাট্টা ও তামাশা-দ্বন্দ্ব সমাস
নির্দেশ অনুসারে বাক্য পরিবর্তন করো
১. মামার বাড়িতে এই বিয়ে উপলক্ষ্যেই এসেছে তপন, আর ছুটি আছে বলেই রয়ে গেছে। (সরলবাক্যে)
> এই বিয়ে উপলক্ষ্যে মামার বাড়িতে এসে ছুটি থাকায় তপন রয়ে গেছে। (সরলবাক্য)
২. তবে তপনেরই বা লেখক হতে বাধা কী? (নির্দেশক বাক্যে)
৩. রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই। (জটিল বাক্যে)
> রত্নের যা মূল্য তা জহুরির কাছেই। (জটিল বাক্য)
আর সবাই তপনের গল্প শোনে ও হাসে। (যৌগিক বাক্য)
৫. গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের, মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠল। (সরলবাক্যে)
> গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠে তপনের মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠল। (সরলবাক্য)
৬. আরে বাবা খেপছিস কেন? (নির্দেশক বাক্যে)
> না খেপতে অনুরোধ করছি। (নির্দেশক বাক্য)
৭. তপনের লেখা গল্প পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। (প্রশ্নসূচক বাক্যে)
> তপনের লেখা গল্প কি পত্রিকায় ছাপা হয়নি? (প্রশ্নসূচক বাক্য)
৮. ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে। (না-সূচক বাক্যে)
> ক্রমশ ও কথাটাও চাপা রইল না। (না-সূচক বাক্য)
৯. তা জানে না তপন। (হ্যাঁ-সূচক বাক্যে)
তা তপনের অজানা। (হ্যাঁ-সূচক বাক্য)
১০. যদি কখনও লেখা ছাপতে দেয় তো, তপন নিজে গিয়ে দেবে। (সরলবাক্যে)
> কখনও লেখা ছাপতে দিলে তপন নিজে গিয়ে দেবে। (সরলবাক্য)
১১. যেন নেশায় পেয়েছে। (কর্তৃবাচ্যে)
যেন নেশা করেছে। (কর্তৃবাচ্যে)
নির্দেশ অনুসারে বাচ্য পরিবর্তন করো
১. ছোটোমাসি সেই দিকে ধাবিত হয়। (কর্মবাচ্যে)
> ছোটোমাসির দ্বারা সেই দিকে ধাবিত হওয়া হয়। (কর্মবাচ্য)
২. তপন বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকায়। (কর্মবাচ্যে)
তপনের দ্বারা বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকানো হয়। (কর্মবাচ্য)
৩. ওর লেখক মেসো ছাপিয়ে দিয়েছে। (কর্মবাচ্যে)
> ওর লেখক মেসো কর্তৃক ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। (কর্মবাচ্য)
৪. বারে, চমৎকার লিখেছে তো। (ভাববাচ্যে)
> বারে, চমৎকার লেখা হয়েছে তো। (ভাববাচ্য)
৫. তা জানে না তপন। (কর্মবাচ্যে)
> তা তপনের জানা নেই। (কর্মবাচ্য)
৬. অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে। (কর্মবাচ্যে)
> অমুক কর্তৃক তপনের লেখা ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। (কর্মবাচ্য)