দশম শ্রেণি বাংলা জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান) ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর

সূচিপত্র

দশম শ্রেণি বাংলা জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান) ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
দশম শ্রেণি বাংলা জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান) ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর

চলন বা সঞ্চালন কাকে বলে?

যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা কোনো উদ্দীপকের প্রভাবে দেহের কোনো অংশ বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করে তাকে চলন বা সঞ্চালন বলে।

গমন কাকে বলে?

যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বেচ্ছায় বা উদ্দীপকের প্রভাবে দেহের সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন করে, তাকে গমন বলে।

চলন ও গমনের দুটি পার্থক্য কী?

(i) চলনে জীবের স্থান পরিবর্তন হয় না, গমনে জীবের স্থান পরিবর্তন হয়। (ii) চলন সাধারণত উদ্দীপকের প্রভাবে হয়। গমন স্বেচ্ছায় হয়।

কোশের প্রোটোপ্লাজমে কী ধরনের চলন দেখা যায়?

কোশের প্রোটোপ্লাজমে দু-ধরনের চলন দেখা যায়। যেমন- রোটেশন বা প্রবাহ গতি এবং সারকুলেশন বা আর্বত গতি।

প্রকরণ কাকে বলে?

বনচাঁড়াল উদ্ভিদের পরিণত কোশের রসস্ফীতির হ্রাস ও বৃদ্ধির ফলে বনচাঁড়াল উদ্ভিদের তিনটি ফলকের পার্শ্বফলক দুটি পর্যায়ক্রমে ওঠানামা করে, একে প্রকরণ চলন বলে।

ব্যাপ্তি বা ন্যাস্টিক চলন কাকে বলে?

উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে না হয়ে উদ্দীপকের তীব্রতা অনুসারে হয়, তখন তাকে ব্যাপ্তি বা ন্যাস্টিক চলন বলে।

আবিষ্ট বা ট্যাকটিক চলন কাকে বলে?

বহিস্থ উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ অঙ্গের স্থান পরিবর্তনকে আবিষ্ট চলন বা ট্যাকটিক চলন বলে।

বনচাঁড়ালকে টেলিগ্রাফ উদ্ভিদ বলে কেন?

দিনের বেলায় পার্শ্বীয় পত্রক দুটি সমান্তরাল থাকে, রাতে এগুলি নীচের দিকে সোজাসুজিভাবে অবস্থান করে। দিনের বেলায় পার্শ্বীয় পত্রকের রসস্ফীতির তারতম্যের জন্য পত্রক দুটি উপরে এবং নীচে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ওঠানামা করে। এই ধরনের পত্রক চলন দেখা যায় বলে, বনচাঁড়ালকে টেলিগ্রাফ উদ্ভিদ বলে।

ট্রপিক ও ট্যাকটিক চলনের মূল পার্থক্য কী?

ট্রপিক চলনে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয় না, ট্যাকটিক চলনে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয়।

রোটেশন এবং সারকুলেশন কোথায় দেখা যায়?

রোটেশন পাতাশ্যাওলার কোশে এবং সারকুলেশন কুমড়ো গাছের কাণ্ডের রোমে দেখা যায়।

ফোটোট্রপিক চলন কাকে বলে?

উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন আলোক উৎসের গতিপথ অনুসারে হয়, তখন তাকে ফোটোট্রপিক চলন বলে। যেমন-উদ্ভিদের বিটপ অংশ আলোর দিকে অগ্রসর হয়।

জিওট্রপিক চলন কাকে বলে?

উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন অভিকর্ষের গতিপথ অনুসারে হয়, তখন তাকে জিওট্রপিক চলন বলে। যেমন-উদ্ভিদের মূল অভিকর্ষের টানে মাটির গভীরে প্রবেশ করে।

বলন বা ন্যুটেশন কাকে বলে? কোন্ উদ্ভিদে এই চলন দেখা যায়?

উদ্ভিদ অঙ্গের অসম বৃদ্ধির ফলে কান্ডের সর্পিলাকার চলনকে বলন বা ন্যুটেশন বলে। শিম ও অপরাজিতায় এরূপ চলন দেখা যায়।

হাইড্রোট্রপিক চলন কাকে বলে?

উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন জলের উৎসের গতিপথ অনুসারে হয়, তখন তাকে হাইড্রোট্রপিক চলন বলে। যেমন-উদ্ভিদের মূল জলের উৎসের দিকে অগ্রসর হয়।

রোটেশন কাকে বলে?

পরিণত উদ্ভিদ কোশের কোশগহ্বরকে কেন্দ্র করে প্রোটোপ্লাজমের একমুখী গতিকে রোটেশন বলে।

গমনের উদ্দেশ্য লেখো।

(i) খাদ্য সংগ্রহের প্রয়োজনে জীবের গমন হয়ে থাকে, (ii) আত্মরক্ষায় উপযুক্ত বাসস্থান এর সন্ধানে গমন হয়ে থাকে, (iii) প্রাণীদের ক্ষেত্রে প্রজননের জন্য উপযুক্ত সঙ্গী সন্ধানের জন্য গমন হয়ে থাকে।

ফোটোট্যাকটিক চলন কাকে বলে?

আলোক উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদের ট্যাকটিক চলনকে ফোটোট্যাকটিক চলন বলে। যেমন-কয়েক প্রকার শৈবালের আলোর দিকে চলন।

ফোটোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে?

উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন আলোকের তীব্রতার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন তাকে ফোটোন্যাস্টিক বা আলোক ব্যাপ্তি চলন বলে। যেমন-সূর্যমুখী ফুল আলোকের তীব্রতায় ফোটে আবার কম আলোতে মুদে যায়।

থার্মোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে?

উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উন্মুতার তীব্রতার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তখন তাকে থার্মোন্যাস্টিক বা তাপ ব্যাপ্তি চলন বলে। যেমন-টিউলিপ ফুলের পাপড়ি অধিক তাপে খোলে এবং কম তাপে মুদে যায়।

নিকটিন্যাস্টিক চলন কাকে বলে?

উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন আলো ও উয়তা উভয়ের প্রভাবে ঘটে তখন তাকে নিকটিন্যাস্টিক চলন বলে। যেমন-তেঁতুল পাতা, শিম প্রভৃতি পাতার পত্রকগুলি বেশি আলো ও প্রখর তাপে খোলা থাকে, আবার কম আলো ও কম উন্নতায় মুদে যায়।

কেমোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে?

কোনো রাসায়নিক পদার্থের (প্রোটিন) সংস্পর্শে উদ্ভিদ অঙ্গের যে চলন হয় তাকে কেমোন্যাস্টিক বা রসায়ন ব্যাপ্তি চলন বলে। যেমন- সূর্যশিশির (পতঙ্গভুক) উদ্ভিদের পাতার কর্ষিকাগুলি পতঙ্গের (প্রোটিন) সংস্পর্শে আসামাত্র বেঁকে পতঙ্গকে আবদ্ধ করে।

লজ্জাবতীর সিসমোন্যাস্টিক চলনের কারণ কী?

লজ্জাবতীর পাতা স্পর্শ করা মাত্র পাতা পত্রকগুলি নুয়ে পড়ে এটি সিসমোন্যাস্টিক চলনের উদহারণ। এর কারণ পাতার পত্রকগুলি উত্তেজিত হলে তাদের স্ফীতবৃন্ত বা পালভিনাস থেকে জল অন্য কোশে চলে গেলে রসস্ফীতি চাপ কমে যায় ফলে পত্রকগুলি নুয়ে পড়ে।

নিম্নলিখিত উদাহরণগুলি কোন্ প্রকারের চলন প্রদর্শন করে-(ক) পদ্মফুলের প্রস্ফুটন, (খ) মূলের জলের দিকে ধাবিত হওয়া, (গ) ফার্নের শুক্রাণুর ডিম্বাণুমুখী চলন, (ঘ) পতঙ্গভূক উদ্ভিদের পতঙ্গ শিকার করা।

(ক) পদ্মফুলের প্রস্ফুটন-ফোটোন্যাস্টিক চলন, (খ) মূলের জলের দিকে ধাবিত হওয়া- অনুকূল জলবর্তী চলন, (গ) ফার্নের শুক্রাণুর ডিম্বাণুমুখী চলন-কেমোট্যাকটিক চলন, (ঘ) পতঙ্গভুক উদ্ভিদের পতঙ্গকে শিকার করা-কেমোন্যাস্টিক চলন।

Sleep Movement কাকে বলে?

Acacia, Oxalis, Bauhinia ও Marsilea পত্রকগুলি দিনের বেলা খোলে ও রাতে বুজে যায়। এদের পত্রমূলের রসস্ফীতি জনিত চাপের পরিবর্তন হেতু এরূপ চলন হয়। একে Sleep Movement বলে।

নিম্নলিখিত ঘটনাগুলি উদ্ভিদের কোন্ কোন্ ধরনের চলনকে নির্দেশ করে তা লেখো-(a) মূল মাটির দিকে বৃদ্ধি পায়, (b) সন্ধ্যামালতী মূলের সূর্যোদয়ের সময় ফোটে, (c) লজ্জাবতীর পাতা স্পর্শ করলে মুদে যায়, (d) টিউলিপ ফুলের ফোটা।

(a) মূল মাটির দিকে বৃদ্ধি পায়-অনুকূল অভিকর্ষবর্তী চলন, (b) সন্ধ্যামালতী ফুলের সূর্যোদয়ের সময় ফোটে-ফোটোন্যাস্টিক চলন, (c) লজ্জাবতীর পাতা স্পর্শ করলে মুদে যায়-সিমোন্যাস্টিক চলন, (d) টিউলিপ ফুলের ফোটা-থার্মোন্যাস্টিক চলন।

নিম্নলিখিত চলনগুলির প্রকৃতি নির্ণয় করো-(i) আলোক উৎসের দিকে ভলভক্সের স্থান পরিবর্তন। (ii) তেঁতুল পাতার নিদ্রা চলন, (iii) জুঁই ফুলের কম আলোয় ফোটা, (iv) পাতা শ্যাওলার গাছের পাতার কোশের চলন।

(i) আলোক উৎসের দিকে ভলভক্সের স্থান পরিবর্তন- ফটোট্যাকটিক চলন, (ii) তেঁতুল পাতার নিদ্রা চলন-নিকটিন্যাস্টিক চলন, (iii) জুঁই ফুলের কম আলোয় ফোটা-ফোটোন্যাস্টিক চলন, (iv) পাতাশ্যাওলা গাছের কোশের চলন-প্রোটোপ্লাজমীয় রোটেশন চলন।

তুমি লজ্জাবতী উদ্ভিদের পাতায় স্পর্শ করলে এবং স্পর্শ করা ছেড়ে দিলে যে ঘটনা ঘটবে, তার কারণ উল্লেখ করো।

লজ্জাবতী উদ্ভিদের পাতা স্পর্শ করলে, পত্রকগুলি নুয়ে পড়ে কারণ পত্রকগুলি উদ্দীপ্ত হলে উদ্দীপনা পত্রবৃন্তের গোড়ার কোশে প্রেরিত হয় এবং পত্রমূলের উপাধান কোশ থেকে জল অন্য কোশে স্থানান্তরিত হওয়ায় কোশগুলির রসস্ফীতির পরিবর্তন ঘটে, ফলে পত্রকগুলি নুয়ে পড়ে।
স্পর্শ করা ছেড়ে দিলে অর্থাৎ উদ্দীপকের প্রভাব মুক্ত হলে পত্রকগুলি পূর্ব অবস্থায় ফিরে আসে।

সূর্যোদয়ের পর পুকুরের জল সবুজ হয়ে যায় আবার সূর্যাস্তের পর পুকুরের জল ধীরে ধীরে স্বচ্ছ হয়ে যায়। এর কারণ কী?

পুকুরের জলের মধ্যে যে সব সবুজ শৈবাল অবস্থান করে, তারা সালোকসংশ্লেষের জন্য আলোর প্রয়োজন মেটাতে পুকুরের উপরতলের জলে সাঁতার কেটে উঠে আসে এবং ভেসে থাকে। তার ফলে জলের রং সবুজ হয়ে যায়। সূর্যাস্তের পর আলোর তীব্রতা কমে যায়, তখন শৈবাল গুলি পুনরায় জলের নীচে নেমে যায় এবং পুকুরের জল স্বচ্ছ হয়ে যায়। শৈবালের ফটোট্যাকটিক চলনের জন্য এইরূপ ঘটনা ঘটে।

থার্মোন্যাস্টি কী?

যে ধরনের ন্যাস্টিক চলন উম্নতার তারতম্য দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যেমন-টিউলিপ ও স্যাফ্রন (Saffron) ফুল অপেক্ষাকৃত অধিক উন্নতায় খোলে কিন্তু উন্নতা কমে এলে পাপড়ি বন্ধ হয়ে যায়।

ট্যাকটিক চলনকে ট্যাকটিক গমন বলা যায় কি?

ট্যাকটিক চলনে প্রকৃত অর্থে উদ্দীপকের তীব্রতা ও উৎস দ্বারা প্রভাবিত হয়ে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন ঘটে। তাই এই ট্যাকটিক চলনকে এক অর্থে ট্যাকটিক গমন বলা যেতে পারে।

ফোটোন্যাস্টিক কী?

এই ধরনের বক্রচলন আলোক উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। উদাহরণ: পদ্ম, পোস্ত ও সূর্যমুখীর ফুল দিনের বেলা ফোটে, একে অনুকূল আলোকব্যাপ্তি (Positively Phototropic) বলে। কিন্তু Cestrum, সন্ধ্যামালতী, হাসনাহানা প্রভৃতি উদ্ভিদের ফুল রাতে ফোটে এবং দিনের বেলা বন্ধ হয়ে যায়, তাই এদের প্রতিকূল আলোকব্যাপ্তি (Negatively Photonastic) বলে।

থিগমোন্যাস্টি বা হ্যাপটোন্যাস্টি চলন কাকে বলে?

যে ধরনের ব্যাপ্তি চলন স্পর্শ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে স্পর্শব্যাপ্তি বা Haptonasty বলে। Dionaca প্রভৃতি উদ্ভিদের পুংকেশর পতঙ্গের স্পর্শ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হ্যাপন্যাস্টিক চলন দেখায়। Drosera (সূর্যশিশির)-র কর্ষিকাতেও পতঙ্গের স্পর্শে এলে এই ধরনের চলন দেখা যায়।

অ্যামিবয়েড গমন কী?

উদ্ভিদ কোশে কোশ প্রাচীরের অনুপস্থিতিতে নগ্ন প্রোটোপ্লাজম যখন বাহ্যিক উদ্দীপকের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন করে তাকে অ্যামিবয়েড গমন বলে। উদাহরণ: স্লাইমমোল্ড-এর প্লাজমোডিয়া বা Myxomycetes |

সিলিয়ারি চলন বা গমন কী?

এককোশী ছত্রাক ও শৈবালের সিলিয়া বা ফ্ল্যাজেলার সাহায্যে সক্রিয়ভাবে গমন পদ্ধতিকে বলে সিলিয়ারি গমন বলে। অনেক সময় চলরেণু বা শুক্রাণুর (Antherozoids)-এর মধ্যেও এধরনের চলন দেখা যায়। উদাহরণ: Chlamydomonas, Synchytrium

তুমি একটি পদ্মফুলকে ফুটতে দেখলে ও একটি সূর্যমুখী ফুলকে ফুটতে দেখলে। এদের মধ্যে কোন তাৎপর্যপূর্ণ পার্থক্য খুঁজে পাও তা বিবৃত করো।

পদ্মফুল ও সূর্যমুখী ফুল উভয়ে আলোর তীব্রতায় ফোটে আবার কম আলোয় মুদে যায়। অর্থাৎ উভয়ে ফোটোন্যাস্টিক চলন প্রদর্শন করে। কিন্তু একইসঙ্গে সূর্যমুখী ফুলের অভিমুখ আকাশের সূর্যের অবস্থানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয় অর্থাৎ হেলিওট্রপিক চলনও দেখা যায়।

সাইক্লোসিস কী?

সজীব উদ্ভিদ কোশের প্রোটোপ্লাজমের স্বতঃস্ফূর্ত চলনকে সাইক্লোসিস বলে। এটি দুপ্রকারের, যথা-রোটেশন ও সারকুলেশন।

রোটেশন কী?

পরিণত উদ্ভিদ কোশের সাইটোপ্লাজম যখন কেন্দ্রস্থ বড়ো গহ্বরকে ঘিরে ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে বা বিপরীতে ঘোরে তাকে রোটেশন বলে। উদাহরণ: Vallineria, Hydrilla-র পাতার কোশে দেখা যায়।

সারকুলেশন কী?

অপরিণত উদ্ভিদ কোশের সাইটোপ্লাজমে যখন একাধিক কোশ গহ্বরকে ঘিরে ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে বা বিপরীতে ঘোরে তাকে সারকুলেশন বলে। উদাহরণ: Tradescantia উদ্ভিদের পুংকেশরীয় রোমে দেখা যায়।

স্ট্যাটোলিথ কাকে বলে?

উদ্ভিদ কোশের মধ্যে যেসব উপাদান অভিকর্ষে প্রতিক্রিয়াশীল তাদের একত্রে স্ট্যাটোলিথ বলে। যেমন-অ্যামাইলোপ্লাস্ট ইত্যাদি।

ঋণাত্মক ফোটোট্রপিক ও ঋণাত্মক জিওট্রপিক উদ্ভিদের একই অংশে দেখা যায় প্রমাণ করো।

সুন্দরী গাছের শ্বাসমূল অক্সিজেনের প্রয়োজনে মাটির ওপরে উঠে আসে এবং মূলের অগ্রভাগের ক্ষুদ্র ছিদ্রের সাহায্যে O₂ গ্রহণ করে। এটি একই সঙ্গে ঋণাত্মক জিওট্রপিক চলন এবং আলোর অভিমুখে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হবার দরুন ধনাত্মক ফোটোট্রপিক চলন প্রদর্শন করে।

Leave a Comment