দশম শ্রেণি বাংলা অসুখী একজন গল্পের ব্যাকরণ কারক অকারক সম্পর্ক ব্যাসবাক্যসহ সমাস বাক্য পরিবর্তন ও বাচ্য পরিবর্তন |
রেখাঙ্কিত পদগুলির কারক/অকারক সম্পর্ক এবং বিভক্তি ও অনুসর্গ নির্ণয় করো
১. আমি তাকে ছেড়ে দিলাম।
▷ তাকে-কর্মকারক, ‘কে’ বিভক্তি।
২. আমি চলে গেলাম দূর … দূরে।
> দূরে-অধিকরণ কারক, ‘এ’ বিভক্তি।
৩. হেঁটে গেল গির্জার এক নান।
> গির্জার-সম্বন্ধপদ, ‘র’ বিভক্তি।
৪. বৃষ্টিতে ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ।
▷ বৃষ্টিতে-কর্তৃকারক, ‘তে’ বিভক্তি। পায়ের-সম্বন্ধপদ, ‘এর’ বিভক্তি।
৫. শান্ত হলুদ দেবতারা।
▷ দেবতারা-কর্তৃকারক, ‘রা’ বিভক্তি।
৬. যেখানে আমি ঝুলন্ত বিছানায় ঘুমিয়েছিলাম।
▷ বিছানায়-অধিকরণ কারক, ‘য়’ বিভক্তি।
৭. আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায়।
▷ মেয়েটি-কর্তৃকারক, ‘শূন্য’ বিভক্তি, ‘টি’ নির্দেশক।
৮. অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে দরজায়।
▷ দরজায়-অধিকরণ কারক, ‘য়’ বিভক্তি।
৯. একটা কুকুর চলে গেল।
> কুকুর-কর্তৃকারক, ‘শূন্য’ বিভক্তি।
১০. ঘাস জন্মালো রাস্তায়।
> রাস্তায়-অধিকরণ কারক, ‘য়’ বিভক্তি।
১১. বছরগুলো/নেমে এল তার মাথার ওপর।
> বছরগুলো-কর্তৃকারক, ‘শূন্য’ বিভক্তি, ‘গুলো’ নির্দেশক।
১২. তারপর যুদ্ধ এল।
> যুদ্ধ-কর্তৃকারক, ‘শূন্য’ বিভক্তি।
১৩. হাজার বছর ধরে ডুবে ছিল ধ্যানে।
> ধ্যানে-অধিকরণ কারক, ‘এ’ বিভক্তি।
১৪. সমস্ত সমতলে ধরে গেল আগুন।
> আগুন-কর্তৃকারক, শূন্য বিভক্তি।
১৫. উল্টে পড়ল মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে।
> মন্দির থেকে-অপাদান কারক, ‘থেকে’ অনুসর্গ।
১৬. তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।
▷ স্বপ্ন-কর্মকারক, ‘শূন্য’ বিভক্তি।
১৭. সব চূর্ণ হয়ে গেল, জ্বলে গেল আগুনে।
> আগুনে-করণকারক, ‘এ’ বিভক্তি।
১৮. সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা।
> কাঠকয়লা-কর্তৃকারক, ‘শূন্য’ বিভক্তি।
১৯. রক্তের একটা কালো দাগ।
> রক্তের-কর্মকারক, ‘এর’ বিভক্তি।
২০. আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায়।
> আমার-সম্বন্ধপদ, ‘র’ বিভক্তি।
রেখাঙ্কিত পদগুলির ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো
১. একটা সপ্তাহ আর একটা বছর কেটে গেল।
> সপ্তাহ-সপ্ত অহের সমাহার-দ্বিগু সমাস।
২। রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো।
▷ আগ্নেয় পাহাড়-অগ্নি উদ্গীরণকারী পাহাড়-মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
৩. চিমনি, প্রাচীন জলতরঙ্গ।
▷ জলতরঙ্গ-জলে সৃষ্ট তরঙ্গ-মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
৪. সমস্ত সমতলে ধরে গেল আগুন।
> সমতলে-সম যে তল-সাধারণ কর্মধারয়, তাতে।
৫. ছড়ানো করতলের মতো পাতা।
▷ করতলের-করের তল-সম্বন্ধ তৎপুরুষ, তার।
৬. সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা।
> কাঠকয়লা-কাঠ পুড়িয়ে সৃষ্ট কয়লা-মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
নির্দেশ অনুসারে বাচ্য পরিবর্তন করো
১. আমি তাকে ছেড়ে দিলাম। (কর্মবাচ্যে)
> আমার দ্বারা (আমা কর্তৃক) তাকে ছেড়ে দেওয়া হল। (কর্মবাচ্য)
২. আমি চলে গেলাম দূর … দূরে। (ভাববাচ্যে)
> আমার দূর-দূরান্তে চলে যাওয়া হল। (ভাববাচ্য)
৩. বৃষ্টিতে ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ। (কর্মবাচ্যে)
> বৃষ্টির দ্বারা আমার পায়ের দাগ ধুয়ে দেওয়া হল। (কর্মবাচ্য)
৪. তারপর যুদ্ধ এল। (ভাববাচ্যে)
▷ তারপর যুদ্ধের আগমন ঘটল। (ভাববাচ্য)
৫. তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না। (কর্মবাচ্যে)
তাদের আর স্বপ্ন দেখা হল না। (কর্মবাচ্য)
৬. একটা কুকুর চলে গেল। (ভাববাচ্যে)
> একটা কুকুরের চলে যাওয়া হল। (ভাববাচ্য)
৭. যারা হাজার বছর ধরে ডুবে ছিল ধ্যানে। (কর্মবাচ্যে)
> যাদের দ্বারা হাজার বছর ধরে ধ্যানে ডুবে থাকা হয়েছিল। (কর্মবাচ্য)
৮. জ্বলে গেল আগুনে। (ভাববাচ্যে)
▷ আগুনে জ্বলে যাওয়া হল। (ভাববাচ্য)
৯. আমি ঝুলন্ত বিছানায় ঘুমিয়েছিলাম। (কর্মবাচ্যে)
> আমার দ্বারা ঝুলন্ত বিছানায় ঘুমিয়ে থাকা হয়েছিল। (কর্মবাচ্য)
নিম্নলিখিত চরণগুলি কোন্ ধরনের বাক্যের অন্তর্গত?
১. সে জানত না আমি আর কখনো ফিরে আসব না।
> যৌগিক বাক্য, নঞর্থক বাক্য।
২. একটা সপ্তাহ আর একটা বছর কেটে গেল।
> নির্দেশক বাক্য।
৩. তারপর যুদ্ধ এল।
> সরলবাক্য।
৪. সেই মিষ্টি বাড়ি, সেই বারান্দা।
> যৌগিক বাক্য।
৫. যেখানে আমি ঝুলন্ত বিছানায় ঘুমিয়েছিলাম।
▷ জটিল বাক্য।
৬. আমি চলে গেলাম দূর … দূরে।
নির্দেশক বাক্য।
৭. সেই মেয়েটির মৃত্যু হলো না।
> নির্দেশক বাক্য।
৮. আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায়।
> নির্দেশক বাক্য।
৯. আমি তাকে ছেড়ে দিলাম।
> নির্দেশক বাক্য, সরলবাক্য।
১০. যেখানে ছিল শহর/সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা।
> জটিল বাক্য।
১১. সমস্ত সমতলে ধরে গেল আগুন।
> সরলবাক্য, নির্দেশক বাক্য।
নির্দেশ অনুসারে বাক্যের রূপান্তর করো
১. আমি তাকে ছেড়ে দিলাম। (না-বাচক বাক্যে)
> আমি তাকে ধরে রাখলাম না। (না-বাচক বাক্য)
২. অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে দরজায়। (জটিল বাক্যে)
> যে দরজা সেখানে অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে। (জটিল কাব্য)
৩. আমি চলে গেলাম দূর…দূরে। (না-বাচক বাক্যে)
> আমি কাছে রইলাম না। (না-বাচক বাক্য)
৪. সে জানত না আমি আর ফিরে আসব না। (জটিল বাক্যে)
> আমি যে আর কখনও ফিরে আসব না তা সে জানত না। (জটিল বাক্য)
৫. ঘাস জন্মালো রাস্তায়। (জটিল বাক্যে)
▷ যে ঘাস জন্মাল তা জন্মাল রাস্তায়। (জটিল বাক্য)
৬. একটা সপ্তাহ আর একটা বছর কেটে গেল। (সরলবাক্যে)
> একটা সপ্তাহের পর একটা বছর কেটে গেল। (সরলবাক্য)
৭. বৃষ্টিতে ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ। (জটিল বাক্যে)
> আমার যে পায়ের দাগ তা বৃষ্টিতে ধুয়ে দিল। (জটিল বাক্য)
৮. বৃষ্টিতে ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ। (যৌগিক বাক্যে)
> বৃষ্টি এল আর ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ। (যৌগিক বাক্য)
৯. তারপর যে যুদ্ধ এল তা রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো এল। (জটিল বাক্য)
> তারপর যে যুদ্ধ এল তা রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো এল। (জটিল বাক্যে)
১০. সেই মেয়েটির মৃত্যু হলো না। (হ্যাঁ-বোধক বাক্যে)
সেই মেয়েটি অমর রইল। (হ্যাঁ-বোধক বাক্য)
১১. তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না। (হ্যাঁ-বোধক বাক্যে)
> তারা আর স্বপ্ন দেখায় অসমর্থ হল। (হ্যাঁ-বোধক বাক্য)
১২. যেখানে ছিল শহর/সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা। (সরলবাক্যে)
> শহরের জায়গায় ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা। (সরলবাক্য)
১৩. জ্বলে গেল আগুনে। (জটিল বাক্যে)
> যে আগুন তাতে জ্বলে গেল। (জটিল বাক্য)
১৪. শান্ত হলুদ দেবতারা/যারা হাজার বছর ধরে/ডুবে ছিল ধ্যানে/উল্টে পড়ল মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে। (সরলবাক্যে)
> হাজার বছর ধরে ধ্যানে ডুবে থাকা শান্ত হলুদ দেবতারা মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে উলটে পড়ল। (সরলবাক্য)
১৫. আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায়। (জটিল বাক্যে)
> আর সেই যে মেয়েটি সে আমার অপেক্ষায়। (জটিল বাক্য)