তুরস্ককে ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’ বলা হয় কেন – আজকের পর্বে তুরস্ককে ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’ বলা হয় কেন তা আলোচনা করা হল।
তুরস্ককে ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’ বলা হয় কেন
তুরস্ককে ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’ বলা হয় কেন? |
ভূমিকা
পঞ্চদশ থেকে সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত শুধু ইউরোপ নয়, আফ্রিকা মহাদেশেও তুর্কি সাম্রাজ্যের প্রসার ঘটেছিল। আলোচ্য সময় তুর্কি সাম্রাজ্যের প্রসার ঘটার ক্ষেত্রে তাদের সামরিক শক্তিই প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। এমত একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে ক্রমশ দুর্বল রাষ্ট্রে পরিণত হতে থাকে। তুরস্কের এমত রাজনৈতিক শক্তিক্ষয়ের কারণে অনেকেই তাকে ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’ বলে ব্যঙ্গ করত।
তুরস্ককে ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’ বলার কারণ
(ক) অযোগ্য শাসক
অষ্টাদশ শতাব্দী এবং তার পরবর্তী সময় তুরস্ক তার শক্তি অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছিল। এক্ষেত্রে অন্যতম কারণ ছিল তুর্কি সুলতানদের অযোগ্যতা এবং স্বৈরাচারী মনোভাব। প্রজাকল্যাণের প্রতি তাদের কোনো আগ্রহই ছিল না। এই কারণে মাঝেমাঝেই সেখানে বিদ্রোহ দেখা দিত।
(খ) সংস্কার বিরোধী মনোভাব
অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে ইউরোপের অনেক দেশেই আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছিল। শুরু হয়েছিল বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার। কিন্তু তুরস্কের সুলতানরা সেদেশে আধুনিক সংস্কারকার্যে মোটেও আগ্রহী ছিলেন না। ফলে ইউরোপীয় রাষ্ট্র হলেও তুরস্ক নির্দিষ্ট সামাজিক গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ হয়ে পড়েছিল।
(গ) সামরিক ক্ষেত্রে দুর্বলতা
তুরস্কের সুলতানগণ নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার দিকে মনোযোগ দিয়েছিলেন। ইউরোপের অন্যান্য দেশ আলোচ্য সময় যেখানে সামরিক ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থানের উন্নতি ঘটিয়েছিল সেখানে তুরস্কের শাসকগণ ছিলেন অনেকটাই পিছিয়ে। আর এই কারণেই তারা ইউরোপের অপরাপর দেশগুলির কাছে দুর্বল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিপন্ন হয়।
That was, that is & may be that will be useful for students.
Thank You