টীকা লেখো স্যাডোয়ার যুদ্ধ

টীকা লেখো: স্যাডোয়ার যুদ্ধ
টীকা লেখো: স্যাডোয়ার যুদ্ধ।

ভূমিকা

প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বিসমার্ক যে তিনটি যুদ্ধের মাধ্যমে জার্মানির ঐক্য সম্পন্ন করেছিলেন সেগুলির মধ্যে অস্ট্রিয়ার সঙ্গে স্যাডোয়ার যুদ্ধ ছিল উল্লেখযোগ্য।

স্যাডোয়ার যুদ্ধের কারণ

স্যাডোয়ার যুদ্ধের মূল কারণ ছিল-

অস্ট্রিয়া বিতাড়ন: জার্মানির ঐক্যের জন্য অস্ট্রিয়ার সঙ্গে প্রাশিয়ার যুদ্ধ অনিবার্য। তাই তিনি জার্মানি থেকে অস্ট্রিয়াকে বিতাড়িত করতে চেয়েছিলেন এক প্রকার নিশ্চিত। ডেনমার্ক গ্যাস্টিনের সন্ধির (১৮৬৫ খ্রি.) মাধ্যমে প্রাশিয়াকে এই দুটি প্রদেশ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় (১৮৬৫ খ্রি.)।

বিসমার্কের কূটনীতি:
সম্ভাব্য অস্ট্রিয়া-প্রাশিয়া যুদ্ধের জন্য বিসমার্ক ইউরোপিয় রাষ্ট্রগুলির বিশেষত রাশিয়া, ফ্রান্স, ইটালির নিরপেক্ষতা অর্জন করেন এবং অস্ট্রিয়াকে বিচ্ছিন্ন করেন। বিসমার্ক মনে করতেন যে,

স্যাডোয়ার যুদ্ধের সূত্রপাত

শ্লেজউইগ ও হলস্টেইন ছিল জার্মানির রাজ্যসীমার অন্তর্গত দুটি প্রদেশ, কিন্তু আইনত এই প্রদেশগুলি ছিল ডেনমার্কের অধীন। শ্লেজউইগ ও হলস্টেইন সমস্যাকে কেন্দ্র করে বিসমার্কের প্রাশিয়া অস্ট্রিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে (১৮৬৪ খ্রি.)। ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়া শ্লেজউইগ-হলস্টেইনের প্রশ্নটি জার্মান রাষ্ট্রসংঘে উপস্থাপিত করলে তা গ্যাস্টিনের চুক্তির বিরোধি এই অভিযোগে প্রাশিয়া হলস্টেইনে সৈন্য প্রেরণ করে। এর প্রতিবাদে অস্ট্রিয়া প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। মাত্র ছয় সপ্তাহকাল এই যুদ্ধ স্থায়ী হয়েছিল। ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে স্যাডোয়ার যুদ্ধে (Battle of Sadowa) অস্ট্রিয়া চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়। এর ফলে কেবলমাত্র অস্ট্রিয়াই নয়, সমগ্র জার্মানির ওপর প্রাশিয়ার প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হল।

উপসংহার

স্যাডোয়ার যুদ্ধে পরাজিত হয়ে অস্ট্রিয়া প্রাশিয়ার সঙ্গে প্রাগের সন্ধি স্বাক্ষরে বাধ্য হয় ২৩ আগস্ট, ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে এই সন্ধির মাধ্যমে: ১ প্রাশিয়ার নেতৃত্বে জার্মানির ঐক্যের পথ সুগম হয়; ২ অস্ট্রিয়া সাম্রাজ্যের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।

Leave a Comment