জোলভেরাইন সম্পর্কে আলোচনা করো – আজকের পর্বে জোলভেরাইন সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
জোলভেরাইন সম্পর্কে আলোচনা করো
জোলভেরাইন সম্পর্কে আলোচনা করো। |
ভূমিকা
১৮১৬ খ্রিস্টাব্দে প্রাশিয়ার নেতৃত্বে জার্মান রাষ্ট্রগুলির শুল্ক সমবায়কে বলা হয় জোলভেরাইন। জার্মানির ঐক্য আন্দোলনের ক্ষেত্রে জোলভেরাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রতিষ্ঠা
জার্মান অর্থনীতিবিদ ম্যাজানের উদ্যোগে ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে এই শুল্ক সংঘটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
উদ্দেশ্য
- সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে আন্তঃশুল্ক বিলুপ্ত করা
- অবাধ বাণিজ্যের প্রবর্তন করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা।
- জার্মান রাষ্ট্রগুলির বাণিজ্যিক বাধা দূর করে বাণিজ্যের প্রসার ঘটানো
- গোটা জার্মান সাম্রাজ্যের এক শুল্ক নীতি প্রয়োগ করে জার্মান রাজ্যগুলির উন্নতি গঠন করা।
প্রসার
১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে জোলভেরাইন প্রতিষ্ঠা হলে ধীরে ধীরে এর প্রসার ঘটতে থাকে ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে মধ্য ও উত্তর জার্মানির সকল রাজ্য এতে যোগদান করে। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে অস্ট্রিয়া ছাড়া অন্যান্য সব রাজ্যই এই শুল্ক সংঘে যোগদান করে।
কার্যাবলী
- প্রতিবছর একবার এই শুল্ক সংঘের বৈঠক বসত এবং প্রগতিমূলক শুল্ক সংক্রান্ত নানা সিদ্ধান্ত গৃহীত হত
- শুল্ক সংঘে যোগদানকারী সদস্য রাষ্ট্রগুলি বিনাশুল্কে আবাধে ব্যবসাবাণিজ্য করে খুবই সমৃদ্ধ হত।
গুরুত্ব
জার্মানির ঐক্যের ইতিহাসে জোলভেরাইনের গুরুত্ব অপরিসীম। জোলভেরাইনের মধ্যে দিয়ে জার্মান রাজ্যগুলি অথনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে একতাবোধ গড়ে উঠে। ধীরে ধীরে শিল্পায়ন শুরু হলে জার্মানির শক্তিবৃদ্ধি পায়।
অন্যদিকে আর্থিক আদান প্রদানের সাথে সাথে ভাবের আদানপ্রদান ও যোগাযোগ ব্যবস্থারও যথেষ্ট উন্নতি ঘটে অর্থাৎ জোলভেরাইনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও ভাবগত ঐক্য সুদৃঢ় হয় যা ভবিষ্যতে প্রাশিয়ার নেতৃত্বে জার্মানির ঐক্যের পথকে সুদৃঢ় করে। ঐতিহাসিক ম্যারিয়ট বলেছেন zollverein is the first step towards Germanisation of the people.