জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনে ভারতের ভূমিকার মূল্যায়ন করো

জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনে ভারতের ভূমিকার মূল্যায়ন করো

জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনে ভারতের ভূমিকার মূল্যায়ন করো
জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনে ভারতের ভূমিকার মূল্যায়ন করো।

জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ভারত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সাফল্য ও ব্যর্থতার আলোচনার মাধ্যমে ভারতের ভূমিকার মূল্যায়ন করা যায়।

জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনে ভারতের সাফল্য

কোরিয়া যুদ্ধে ভূমিকা

১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধসংক্রান্ত জটিল সমস্যার সমাধানে ভারতের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

ভিয়েতনাম যুদ্ধে ভূমিকা

ভিয়েতনাম সমস্যার সমাধানে তথা এই উদ্দেশ্যে ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত জেনেভা সম্মেলনে ভারতের ভূমিকা ছিল ইতিবাচক।

চিনকে জাতিপুঞ্জের সদস্যপদ লাভে সমর্থন

১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে চিনে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর মার্কিন জোট প্রজাতন্ত্রী চিনকে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। বিবাদ সত্ত্বেও ভারত চিনকে জাতিপুঞ্জের সদস্য করার পক্ষে সমর্থন জানায়।

তৃতীয় বিশ্বের মধ্যমণি হিসেবে

১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে বান্দুং-এ ভারতের নেতৃত্বেই জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের সূচনা হয়। ভারত এভাবে তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির সার্বিক উন্নতির পথ প্রশস্ত করে।

জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনে ভারতের ব্যর্থতা:

ভারত-চিন সম্পর্ক

ভারতের জোটনিরপেক্ষ নীতি চিন ও ভারতের সম্পর্কের অবনতি ঘটায়। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে তিব্বতের ধর্মগুরু দলাই লামাকে ভারতের আশ্রয়দান এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিনের প্রভাববিস্তারের পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে উভয় দেশের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের ২০ অক্টোবর চিন ভারত আক্রমণ করে এবং পরে নিজেরাই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে।

ভারত-পাকিস্তান বিরোধ

ভারত তার প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে সদা আগ্রহী হলেও উভয় দেশের মধ্যে চূড়ান্ত মতবিরোধ আজও বর্তমান। কাশ্মীর সমস্যা, ভারত-পাক আন্তর্জাতিক সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ প্রভৃতি বিষয় পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ককে তিক্ত করে তোলে।

১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তান কচ্ছ সীমান্তের কিছু অঞ্চল দখল করলে ভারত-পাক যুদ্ধ বাধে। অবশেষে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি ঘটে। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে রুশ প্রধানমন্ত্রী কোসিগিন-এর মধ্যস্থতায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আয়ুব খান-এর মধ্যে তাসখন্দ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

আরও পড়ুন – বিংশ শতকে উপনিবেশবিরোধী আন্দোলনের কারণ গুলি আলোচনা করো

Leave a Comment