জার্মানির ঐক্যের পথে প্রধান অন্তরায়গুলি কী ছিল? |
ভূমিকা
জার্মানির ঐক্যের পথে বাধাসমূহ
ভিয়েনা ব্যবস্থা: ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ভিয়েনা সম্মেলনে জার্মানির ঐক্যের আকাঙ্খাকে উপেক্ষা করে ন্যায্য অধিকার নীতি প্রয়োগ করে পুনরায় উনচল্লিশটি রাজ্যে বিভক্ত করে সেখানে অস্ট্রিয়ার প্রাধান্য বলবৎ করা হয়।
আঞ্চলিক বিভিন্নতা ও উগ্র প্রাদেশিকতা: জার্মানির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যগুলির মধ্যে ছিল নানা বিষয়ে মত পার্থক্য ও বিদ্বেষ। প্রত্যেকটি রাজ্য তাদের নিজ নিজ স্বার্থে এতটাই নিমগ্ন থাকার ফলে ঐক্যবদ্ধ জার্মানি গড়ে তোলা অপেক্ষা নিজস্ব স্বতন্ত্রতা রক্ষাই তাদের কাছে মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
ধর্মীয় বিরোধ: ধর্মীয় বিরোধ উত্তরাঞ্চলের রাজ্যগুলির অধিবাসীরা ছিল প্রোটেস্টান্ট অন্যদিকে দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্যগুলি ছিল মূলত ক্যাথলিক, স্বাভাবিক কারণেই ধর্মীয় বিরোধ মাথা চাড়া দিয়ে উঠত।
মেটারনি ব্যবস্থা: জার্মানির জাতীয় চেতনা নিষ্পেষিত হতে থাকে মেটারনি ব্যবস্থা ও কার্লসবাড ডিক্রির যাতাকলে। ফ্রান্সের জুলাই বিপ্লবের ঢেউ যখন জার্মানিতে আছড়ে পরে তখন হ্যানোভার, হেসি, স্যাক্সনি প্রভৃতি রাজ্যে আন্দোলন শুরু হয়ে মেটারনিখ তা কঠোর হাতে দমন করে জার্মানির জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের গতিরোধ করেন।
অস্ট্রিয়ার বিরোধীতা: জার্মানির ঐক্যের প্রধান অন্তরায় ছিল অস্ট্রিয়া কেননা অস্ট্রিয়া সবসময় জার্মানির ঐক্য প্রচেষ্টায় বাধা প্রদান করত। অন্যদিকে জার্মান শাসকবর্গের প্রতিনিধি সভা ডায়েটকে নিয়ন্ত্রণ করত অস্ট্রিয়া। এ ছাড়াও জার্মানির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যগুলির জার্মানির ঐক্যের ব্যাপারে মতভেদ সংস্কার মূলক পরিকল্পনার আঘাত, ভোটাধিকার নিয়ে মত পার্থক্য, দমনমূলক নানা আইন জার্মানির ঐক্যের অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছিল।