গণপরিষদ গঠনের প্রেক্ষাপট ও প্রকৃতি আলোচনা করো |
গণপরিষদ গঠনের প্রেক্ষাপট ও প্রকৃতি আলোচনা করো |
গণপরিষদ গঠনের প্রেক্ষাপট
(ক) লিগের ‘পাকিস্তান’ রাষ্ট্রের দাবি
মহম্মদ আলি জিন্নাহর নেতৃত্বাধীন মুসলিম লিগ ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের লাহোর কংগ্রেসে পৃথক পাকিস্তান রাষ্ট্রের দাবি করে। এই দাবিকে সামনে রেখে লিগ ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের নির্বাচনে অংশ নেয় এবং মুসলিম প্রধান এলাকাগুলিতে সাফল্য লাভ করে।
(খ) লিগের প্রত্যক্ষ সংগ্রাম
(গ) অন্তর্বর্তী সরকার গঠন
এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মধ্যেই ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ২ সেপ্টেম্বর জওহরলাল নেহরু-র নেতৃত্বে কেন্দ্রে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। লিগের সদস্যরা অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দিলেও মন্ত্রীসভায় তারা একটি পৃথক গোষ্ঠী হিসেবে কাজ করতেন।
(ঘ) গণপরিষদের গঠন
১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে গণপরিষদ গঠনের জন্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কংগ্রেস বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ও গঠিত হয় সংবিধান সভা বা গণপরিষদ। এই গণপরিষদের প্রথম সভাপতি হন ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ।
গণপরিষদের সদস্য
১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে গঠিত ভারতীয় গণপরিষদের দুজন সদস্য হলেন- পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ও ড. বি আর আম্বেদকর।
গণপরিষদের প্রকৃতি
(ক) সীমিত ক্ষমতা
ব্রিটিশ পার্লামেন্টেই যেহেতু গণপরিষদের জন্ম হয়েছিল তাই সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে গণপরিষদের কাজ করার ক্ষমতা ছিল না।
(খ) কংগ্রেসের প্রাধান্য
ভারতীয় গণপরিষদে কংগ্রেস ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিল না। ফলে কংগ্রেসের দলীয় নীতি ও আশা-আকাঙ্ক্ষা এখানে সবচেয়ে বেশি প্রতিফলিত হয়।
(গ) সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব
ভারতীয় গণপরিষদে ভারতের সমস্ত শ্রেণির মানুষের প্রতিনিধিত্ব ছিল না। ড. আম্বেদকর সংবিধান সভার খসড়া তৈরি করায় এই পরিষদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়।
(ঘ) আইনজ্ঞদের আধিপত্য
ভারতীয় গণপরিষদে অর্ধেকের বেশিসংখ্যক সদস্য ছিলেন আইনবিশারদ। ফলে আইনবিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি এই পরিষদে প্রাধান্য পেয়েছিল।