কার্যানুসারে নিউরোন কতপ্রকারের সংক্ষেপে লেখো। স্নায়ুকোশ, স্নায়ুতন্তু এবং স্নায়ুর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক বুঝিয়ে লেখো

কার্যানুসারে নিউরোন কতপ্রকারের সংক্ষেপে লেখো। স্নায়ুকোশ, স্নায়ুতন্তু এবং স্নায়ুর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক বুঝিয়ে লেখো
কার্যানুসারে নিউরোন কতপ্রকারের সংক্ষেপে লেখো। স্নায়ুকোশ, স্নায়ুতন্তু এবং স্নায়ুর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক বুঝিয়ে লেখো।

নিউরোনের প্রকারভেদ

কাজ অনুসারে নিউরোন তিন প্রকারের, যথা-সংজ্ঞাবহ নিউরোন, আজ্ঞাবহ নিউরোন এবং সহযোগী নিউরোন।

① সংজ্ঞাবহ বা সেনসরি নিউরোন: এই প্রকার নিউরোন স্নায়ু স্পন্দনকে (আবেগ) গ্রাহক থেকে স্নায়ুকেন্দ্রে প্রেরণ করে।

② আজ্ঞাবহ বা মোটর নিউরোন: এই প্রকার নিউরোন স্নায়ু স্পন্দনকে (সাড়া) কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে ইফেকটরে বা কারকে নিয়ে যায়।

③ সহযোগী বা অ্যাডজাসটর নিউরোন: এই প্রকার নিউরোন সংজ্ঞাবহ ও আজ্ঞাবহ নিউরোনের মধ্যে সংযোগ সাধন করে।

স্নায়ুকোশ, স্নায়ুতন্তু ও স্নায়ুর মধ্যে আন্ত:সম্পর্ক

স্নায়ুতন্ত্র হল স্নায়ুকোশের সমষ্টি। আবার স্নায়ুও গঠিত হয় স্নায়ুকোশ দিয়ে। তাই স্নায়ুতন্ত্রের একক হল স্নায়ুকোশ বা নিউরোন। আবরণীসহ স্নায়ুকোশের অ্যাক্সনকে স্নায়ুতন্তু বলে। আমরা জানি, কার্যানুসারে স্নায়ুকোশ তিন প্রকারের হয়। সংজ্ঞাবহ নিউরোন গ্রাহক থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে স্নায়ুকেন্দ্রে প্রেরণ করে। স্নায়ুকেন্দ্র কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অবস্থিত। স্নায়ুকেন্দ্র থেকে সাড়া আজ্ঞাবহ নিউরোনের মাধ্যমে কারকে অর্থাৎ পেশি বা গ্রন্থিতে পাঠায়। তখন কারক উদ্দীপিত হয় অর্থাৎ সাড়া দেয়। সমস্ত ক্রিয়াটি স্নায়ুকোশ, স্নায়ু এবং স্নায়ুতন্ডুর সম্মিলিত ফল।

Leave a Comment