উপযুক্ত উদাহরণসহ অযৌজন জননের পাঁচটি পদ্ধতি বর্ণনা করো। |
অযৌন জননের পদ্ধতিসমূহ
1. বিভাজন:
(ii) প্লাসমোডিয়াম বহুবিভাজন পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করে। প্লাসমোডিয়ামে সাইজন্ট দশায় বহুবিভাজন লক্ষ করা যায়। সাইজন্টের নিউক্লিয়াসটি বারবার বিভাজিত হয়ে অসংখ্য মেরোজয়েট গঠন করে। মেরোজয়েটগুলি সাইজন্ট থেকে মুক্ত হয়ে অপত্য প্লাসমোডিযাম সৃষ্টি করে। উদাহরণ: অ্যামিবা, প্লাসমোডিয়াম।
2. কোরকোদ্গম:
(i) ইস্ট কোরকোশম প্রক্রিয়ায় বংশবিস্তার করে। ইস্টের মাতৃকোশে এক বা একাধিক কোরক সৃষ্টি হয়। কোরকগুলি মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অপত্য ইস্ট গঠন করে।
(ii) হাইড্রার দেহের বাইরের দিকে কোনো অংশ স্ফীত হয়ে কোরক সৃষ্টি করে। কোরকটি বড়ো হলে তার অগ্রভাগে মুখছিদ্র এবং মুখছিদ্রকে বেষ্টন করে কর্ষিকা সৃষ্টি হয়। কোরক মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অপত্য হাইড্রা সৃষ্টি করে। উদাহরণ: ইস্ট, হাইড্রা।
3. খন্ডীভবন:
4. রেণু উৎপাদন:
(i) মিউকর নামক ছত্রাকের বায়বীয় অণুসূত্রের অগ্রভাগ স্ফীত হয়ে রেণুস্থলী গঠন করে রেণুস্থলীর মধ্যে অসংখ্য রেণু সৃষ্টি হয়। রেণুস্থলী বিদীর্ণ হলে রেণুগুলি মুক্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং অনুকূল পরিবেশে অঙ্কুরিত হয়ে মিউকর অনুসূত্র গঠন করে।
(ii) মস জাতীয় উদ্ভিদের রেণুস্থলীর মধ্যে রেণুগুলি সৃষ্টি হয়। রেণুস্থলী বিদীর্ণ হলে ছড়িয়ে যায় এবং রেণু মুক্ত হয়ে অঙ্কুরিত হয়ে পুণরায় মস জাতীয় উদ্ভিদ সৃষ্টি করে।
(iii) ফার্ন উদ্ভিদের পত্রকে নীচে অসংখ্য সোরাই উৎপন্ন হয়। তাদের মধ্যে রেণুস্থলী থাকে। রেণুস্থলীর মধ্যে অসংখ্য রেণু সৃষ্টি হয়। রেণুস্থলী বিদীর্ণ হলে রেণুগুলি মুক্ত হয় এবং অপত্য ফার্ন সৃষ্টি করে। উদাহরণঃ ছত্রাক, মস, ফার্ন।
5. পুনরুৎপাদন: