আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করো। আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রসার ও স্বাধীনতালাভ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো

আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করো। আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রসার ও স্বাধীনতালাভ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো – আজকের পর্বে আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করো। আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রসার ও স্বাধীনতালাভ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল।

    আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করো। আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রসার ও স্বাধীনতালাভ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো

    আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করো। আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রসার ও স্বাধীনতালাভ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো

    আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করো। আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রসার ও স্বাধীনতালাভ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।

    আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট

    উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি রাষ্ট্র আলজেরিয়া। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে আলজেরিয়ার মুক্তিসংগ্রামের প্রেক্ষাপট নিম্নে আলোচনা করা হল-

    ফ্রান্সের উদ্দেশ্য: ফ্রান্সের উদ্দেশ্য ছিল আলজেরিয়ায় উপনিবেশ স্থাপন এবং আলজেরিয়ার বাসিন্দাদের ফরাসি নাগরিকে পরিণত করা। এই উদ্দেশ্যসাধনের জন্য ফরাসিরা আলজেরিয়ার বাসিন্দাদের ফরাসি ভাষা, সংস্কৃতি ও শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি উৎসাহ প্রদান করে। এর ফলে তারা ভুলতে বসেছিল নিজেদের ভাষা এবং সংস্কৃতি।

    ধনী ও প্রভুত্বকারী জনগোষ্ঠী হিসাব ফরাসিদের আত্মপ্রকাশ : আলজেরিয়ায় ফ্রান্স আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করলে সেখানে বহু শ্বেতাঙ্গ ফরাসি বসবাস শুরু করে। এদের মধ্যে ১/৩ অংশ কৃষিজমির মালিকে পরিণত হয় এবং রফতানি বাণিজ্যের বেশিরভাগটাই দখল করে। তারা সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর শোষণ ও নির্যাতন চালায়। এর বিরুদ্ধে আলজেরিয়াবাসীর মনে তীব্র ক্ষোভ জমা হতে থাকে।

    আলজেরীয়দের রাজনৈতিক অধিকারের দাবি: ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে আলজেরীয় নেতা ফারহাৎ আব্বাস জাতীয়তাবাদী এবং আন্তর্জাতিক নেতাদের স্বাক্ষর-সহ একটি দাবিপত্র পেশ করেন ফরাসি সরকারের নিকট। এই দাবিপত্রে আলজেরীয়দের নিজস্ব আইন প্রণয়ন, আইনের সাম্য এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের অধিকার প্রদানের দাবি করা হয়।

    বিক্ষোভ মিছিলে ফরাসি বাহিনীর আক্রমণ: ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ১মে বিভিন্ন অধিকার ও স্বাধীনতার দাবিতে আলজেরিয়ার জনগণ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করলে ফরাসি বাহিনীর আক্রমণে বেশকিছু আলজেরিয়াবাসীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আলজেরিয়ার পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে।

    ইন্দোচিনের স্বাধীনতালাভের প্রভাব: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফরাসিদের উপনিবেশ ইন্দোচিনের বাসিন্দাদের ঔপনিবেশকতা-বিরোধী আন্দোলন আলজেরিয়ার মানুষদের উৎসাহিত করে।

    জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দের ভূমিকা: আলজেরিয়ার মানুষকে জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেন আলজেরিয়ার জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- ফারহাৎ আব্বাস, মোসালি হজ, আহমেদ বেন বেল্লা, মহম্মদ খিদার, হোসানি ইদ আহমেদ প্রমুখ।

    আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রসার ও স্বাধীনতালাভ

    আন্দোলনের সূত্রপাত: ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে আলজেরিয়ায় ফরাসি শাসনের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। আলজেরিয়ার বিখ্যাত জননেতা বেন বেল্লা ‘National Liberation Front’ নামে এক শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এই দল গেরিলা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ফরাসি শক্তিকে বিপর্যস্ত করে তোলে।

    স্বাধীনতা অর্জন: ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে আলজেরিয়ার আন্দোলনকারীদের ‘ফরাসি সেনাবাহিনী ও পুলিশ নির্বিচারে আক্রমণ ও হত্যা করে। আলজেরিয়ার জাতীয়তাবাদী নেতা মোসালি হজ-কে গ্রেফতার করে ফরাসিরা। ফরাসি বাহিনী গ্রামাঞ্চলে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়ে প্রায় ৬-৮ হাজার আলজেরীয়কে হত্যা করে। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি প্রেসিডেন্ট দ্য গল আন্দোলন থামানোর উদ্দেশ্যে আলজেরিয়ায় পরিকল্পিত গণভোটের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্স আলজেরিয়াকে স্বাধীনতাদানে বাধ্য হয়।

    Leave a Comment