অন্তঃক্ষরা, বহিঃক্ষরা ও মিশ্রগ্রন্থি কাকে বলে? বহিঃক্ষরা ও অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির মধ্যে পার্থক্য দেখাও।

অন্তঃক্ষরা, বহিঃক্ষরা ও মিশ্রগ্রন্থি কাকে বলে? বহিঃক্ষরা ও অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির মধ্যে পার্থক্য দেখাও
অন্তঃক্ষরা, বহিঃক্ষরা ও মিশ্রগ্রন্থি কাকে বলে? বহিঃক্ষরা ও অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির মধ্যে পার্থক্য দেখাও।

অন্তঃক্ষরা বা অন্তঃস্রাবী গ্রন্থি

যেসব গ্রন্থির ক্ষরিত রস নালির মাধ্যমে গ্রন্থির বাইরে নিঃসৃত না হয়ে সরাসরি দেহরসে (রক্ত, লসিকা) মিশে যায়, তাদের অন্তঃক্ষরা বা অন্তঃস্রাবী গ্রন্থি বলে। এই রকম গ্রন্থির কোনো নালি না থাকায় এদের অনাল গ্রন্থি (ductless gland) বলে। যেমন-থাইরয়েড, পিটুইটারি, অ্যাড্রেনাল ইত্যাদি।

বহিঃক্ষরা গ্রন্থি

যেসব গ্রন্থির ক্ষরিত বস্তু নালির মাধ্যমে গ্রন্থির বাইরে নিঃসৃত হয়, তাকে বহিঃক্ষরা গ্রন্থি বলে। এইরকম গ্রন্থিতে নালি থাকে বলে এদের সনাল গ্রন্থি (ductus gland) বলে। যেমন-যকৃৎ, লালাগ্রন্থি ইত্যাদি।

মিশ্রগ্রন্থি

যেসব গ্রন্থি অনাল ও সনাল উভয় প্রকার গ্রন্থির সমন্বয়েই গঠিত তাদেরই মিশ্রগ্রন্থি (mixed gland) বলে। অগ্ন্যাশয়, শুক্রাশয় এই রকমের গ্রন্থি।

Leave a Comment