হিমবাহ কী কী পদ্ধতিতে ক্ষয়কাজ করে
হিমবাহ কী কী পদ্ধতিতে ক্ষয়কাজ করে? |
হিমবাহ মূলত দুটি পদ্ধতিতে ক্ষয়কাজ করে। যথা– উৎপাটন পদ্ধতি (Plucking) ও অবঘর্ষ পদ্ধতি (Abrasion)।
উৎপাটন পদ্ধতি (Plucking)
হিমবাহের কিছু অংশ গলে গিয়ে জলে পরিণত হয়। ওই জল পর্বতগাত্রের ফাটলের মধ্যে প্রবেশ করলে অতিরিক্ত শীতলতার কারণে পুনরায় জমে যায়। ফলে প্রবল চাপের সৃষ্টি করে, কারণ জল বরফে পরিণত হলে আয়তনে – বেড়ে যায়। এর ফলে প্রচণ্ড চাপে পর্বতগাত্র থেকে প্রস্তরখণ্ডগুলি আলগা হয়ে পড়ে। তখন তারা হিমবাহের চাপে সহজেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এই প্রক্রিয়াকে বলে উৎপাটন বা প্লাকিং (Plucking)।
আবার যেখান দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হয় সেখানকার শিলাখণ্ড যদি উঠে থাকে তাহলে হিমবাহের চাপে সেই শিলাখণ্ড ক্রমেই আলগা হয়ে উৎপাটিত হয়।
অবঘর্ষ পদ্ধতি (Abrasion)
উৎপাটিত শিলাখণ্ডগুলিকে হিমবাহ বহন করে নিয়ে চলে। হিমবাহের তলদেশে থাকা শিলাখণ্ডগুলি হিমবাহের খাতকে এবং পাশে থাকা শিলাখণ্ডগুলি উপত্যকার পার্শ্বদেশকে ক্ষয় করতে করতে এগিয়ে চলে, একে অবঘর্ষ বলে। এর ফলে উপত্যকার তলদেশ ও পার্শ্বদেশ যেমন মসৃণ হয় তেমনি শিলাখণ্ডগুলিও ক্ষয় হয়। হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট রসে মতানে ভূমিরূপটিতে উভয়প্রকার ক্ষয়কার্যের নিদর্শন দেখা যায়।