‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।

'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো
‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।

প্রবন্ধের নামকরণের ক্ষেত্রে প্রাবন্ধিকদের মধ্যে সাধারণত বাঞ্ছনা অথবা বিষয়কেন্দ্রিক নামকরণের রীতি ব্যবহারের প্রবণতা বিশেষভাবে লক্ষ করা যায়। শ্রীপান্থের লেখা ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধটির নামকরণের ক্ষেত্রে সেদিক দিয়ে বিষয়কেন্দ্রিক রীতি গৃহীত হয়েছে। এই প্রবন্ধটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়-

মূল বিষয়বস্তু

কালি-কলম-মন লেখে তিনজন-কথাটা সত্যি হলেও বর্তমানে কলমের ব্যবহার খুবই কমে গিয়েছে। কম্পিউটারে কাজ করার কারণে লোকের কাছে এখন কলম প্রায় পাওয়াই যায় না অফিসে অফিসে। কারও কাছে পাওয়া গেলেও তা গলা-শুকনো এবং ভোঁতামুখো পেন মাত্র। তাতে লিখে শ্রীপান্থের মতো মানুষরা সুখ পান না। কেননা ছেলেবেলা থেকে কলম ও কালি সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা প্রচুর। ছেলেবেলায় তাঁরা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে কলম তৈরি করে এবং নানাভাবে কালি তৈরি করে লিখতেন। কলার পাতাতেও লিখেছেন। তখন ছিল খাগের কলমও। আরও আগে পালকের কলম ব্যবহৃত হত। সেসব আর দেখা যায় না। সেভাবেই দেখা যায় না কিছু আগেও জনপ্রিয় থাকা নানান ধরনের ফাউন্টেন বা ঝরনা কলমও। দেখা যায় না দোয়াত এবং নানা ধরনের তরল কালিও। প্রথমে বলপেন কেড়ে নিয়েছিল প্রাচীন কালি-কলম-দোয়াতের জায়গা, বর্তমানে কেড়ে নিয়েছে কম্পিউটার। তবে শ্রীপাশ্বের কলমপ্রীতি এখনও আছে।-এটাই হল প্রবন্ধটির মূল বক্তব্য।

কেন্দ্রীয় বিষয়

প্রবন্ধটিতে প্রাধান্য পেয়েছে হারিয়ে যাওয়া কালি-কলমের কথা। সেই কালি-কলমই প্রবন্ধটির কেন্দ্রীয় বিষয়। তাদের কথা উল্লেখই শুধু নয়। তারা কীভাবে হারিয়ে গেল, তারও উল্লেখ করেছেন প্রবন্ধকার এবং তা যথার্থভাবেই করেছেন।

Leave a Comment