সেদিন আপিস যাবার পথে মৃত্যুঞ্জয় প্রথম মৃত্যু দেখল-অনাহারে মৃত্যু–এই ‘দেখা’র ফলে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কেমন হয়েছিল? – আজকের পর্বে সেদিন আপিস যাবার পথে মৃত্যুঞ্জয় প্রথম মৃত্যু দেখল-অনাহারে মৃত্যু–এই ‘দেখা’র ফলে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কেমন হয়েছিল তা আলোচনা করা হল।
সেদিন আপিস যাবার পথে মৃত্যুঞ্জয় প্রথম মৃত্যু দেখল-অনাহারে মৃত্যু–এই ‘দেখা’র ফলে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কেমন হয়েছিল? |
সেদিন আপিস যাবার পথে মৃত্যুঞ্জয় প্রথম মৃত্যু দেখল-অনাহারে মৃত্যু”-এই ‘দেখা’র ফলে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কেমন হয়েছিল? |
১৩৫০ বঙ্গাব্দের মন্বন্তরের প্রেক্ষাপটে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পটি রচিত।
আগে না দেখার কারণ
মধ্যবিত্ত কেরানি মৃত্যুঞ্জয় অফিস যাওয়ার সময় একদিন ফুটপাথে ‘অনাহারে মৃত্যু’ প্রত্যক্ষ করে। বাড়ির কাজকর্ম, বাজারের দায়িত্ব ছিল মৃত্যুঞ্জয়ের ভাই ও চাকরের উপর এবং বাড়ি থেকে দু-পা হেঁটে ট্রামে চড়ে সে অফিস যেত। তার বাড়ির নিরিবিলি এলাকায় ফুটপাথ বিশেষ না থাকায়, মৃত্যুঞ্জয়ের ফুটপাথে হাঁটার প্রয়োজন হয়নি বলে ‘অনাহারে মৃত্যু’ সম্পর্কে শুনে বা পড়ে থাকলেও সে স্বচক্ষে তা দেখেনি।
প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া
দুর্ভিক্ষের সময় অনাহারে মৃত্যু স্বাভাবিক ঘটনা হলেও অনুভূতিপ্রবণ, আদর্শবাদী মৃত্যুঞ্জয় তা দেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। মানসিক আঘাতে মৃত্যুঞ্জয় অফিসের কলঘরে গিয়ে বাড়ি থেকে খেয়ে আসা সমস্ত খাবার বমি করে আসে। তারপর কাচের গ্লাসে জল খেয়ে শূন্যদৃষ্টিতে দেয়ালের দিকে এমনভাবে তাকিয়ে থাকে যেন নিখিলের উপস্থিতি সে লক্ষই করেনি। নিখিলের কয়েকটি প্রশ্নের অবিন্যস্ত উত্তরে অনুশোচনায় দগ্ধ মৃত্যুঞ্জয়ের কাতর অবস্থা বোঝা যায়। খাদ্যাভাবে লোকটির মৃত্যুর জন্য সে নিজেকে এবং নিজের ভালো থাকাকে বারবার দায়ী করে। তাই বিবেকের দংশনে মৃত্যুঞ্জয় ভিতরে ভিতরে ক্রমশ ক্ষয় পেতে থাকে।