শব্দদূষণ নিয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ রচনা |
অশীন : আরে, প্রীতম যে। হঠাৎ এ-পাড়ায়?
প্রীতম : কেন, পাড়াটা তোদের বলে এখানে আমাদের আসাই বারণ না কি?
অশীন : বাজে বকিস না। কতদিন বাদে এ-পাড়ায় পা রাখলি, ভেবে দ্যাখ দেখি? আর আমাদের বাড়িতে আসার কথা তো কোন্কালে ভুলে গেছিস তার ঠিক নেই। তা আজ হঠাৎ এ-পাড়ায় কী মতলবে?
প্রীতম : এই তো বুড়ির মা ভ্যারাইটিসে যাব একটু। কিছু বাজি কিনতে হবে। শুনলাম তোদের এখানকার ওই দোকানটাতে নাকি ভালো ভালো বাজি পাওয়া যায়….
অশীন : তা পাওয়া যায়। কিন্তু বাজিটা ফাটাবে কে, তুই? সেদিন প্রদীপবাবু ক্লাসে কী বলেছিলেন মনে নেই? বাজি ফাটালে শব্দদূষণ বাড়ে। দেওয়ালি এখনও দুদিন বাকি। এর মধ্যেই পাড়ায় পাড়ায় ফটফটাস করে যা বাজি ফাটছে না। কানে তালা লেগে যায়। অথচ দ্যাখ, ৯০ ডেসিবেলের বেশি শব্দের বাজি ফাটানো নাকি আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গে বারণ আছে। মানে কেউ তা? কানের পর্দার ক্ষতি হয়, হার্টের রোগীদের পক্ষেও বিপজ্জনক। তাও…। কাকে আর বলছি। যাকে বলছি, সে নিজেই তো…।
প্রীতম : তার মানে। তুই কি ভাবছিস আমি চকলেট বাজি কিনতে যাচ্ছি? দূর আমি তো ঘটবাজি, তারাবাজি- এসব কিনতে যাচ্ছি দিদির ছেলেটার জন্য।
অশীন :: তাই বল! তুই বললি, আমিও তাই ভাবছিলাম প্রদীপস্যারের কথা বোধহয় ভুলে গেছিস।
প্রীতম : কেন, অশীন দত্ত ছাড়া আর কেউ কিছু মনে রাখতে পারে না-না কি? খুব স্মৃতিধর হয়েছিস, না? ফেরার পথে তোদের বাড়িতে যাচ্ছি। ওখানে কোমরবেঁধে তোর সাথে ঝগড়া করব আজ।