লেখক শ্রীপান্থরা ছেলেবেলায় কীভাবে কলম বানাতেন? তাঁরা কীভাবে হোমটাস্কেরও খাতা বানাতেন এবং সেই খাতার কী পরিণতি হত, সে সম্পর্কে লেখো।

লেখক শ্রীপান্থরা ছেলেবেলায় কীভাবে কলম বানাতেন? তাঁরা কীভাবে হোমটাস্কেরও খাতা বানাতেন এবং সেই খাতার কী পরিণতি হত, সে সম্পর্কে লেখো
লেখক শ্রীপান্থরা ছেলেবেলায় কীভাবে কলম বানাতেন? তাঁরা কীভাবে হোমটাস্কেরও খাতা বানাতেন এবং সেই খাতার কী পরিণতি হত, সে সম্পর্কে লেখো।
‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থ ছিলেন গ্রামের ছেলে। যে সময়ের কথা তিনি তাঁর প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, সেসময় গ্রাম অঞ্চলে ভালো কলম বা এখনকার মতো কলমের চল ছিল না। তাই তাঁরা নিজেরাই কলম বানিয়ে নিতেন। সেক্ষেত্রে-

কলমের উপকরণ

তখন কলমের উপকরণ ছিল রোগা বাঁশের কঞ্চি। সেই কঞ্চি কেটেই তাঁরা কলম বানাতেন। (খ) কলমের সুবিধা বৃদ্ধি বড়োদের উপদেশ মতো কালি যাতে জোরে না পড়ে ধীরে ধীরে চুঁইয়ে পড়ে,

সেরকম ব্যবস্থা করবার জন্যে বাঁশের কঞ্চির কলমটার মুখ ছুঁচোলো করে সেই মুখ কিছুটা চিরে দিতেন। -এভাবেই গড়ে উঠত লেখকদের প্রয়োজনীয় কলম।

কালি-কলম দিয়ে লেখার জন্যে প্রয়োজন হয় খাতা বা লেখার পাত। ছেলেবেলায় শ্রীপান্থরা সেক্ষেত্রে লেখার পাত হিসাবে ব্যবহার করতেন কলাপাতাকে। তখন-

লেখার পাত প্রস্তুতি

কলাপাতা কেটে কাগজের মতো আগে সাইজ করা হত এবং তাতেই করা হত হোমটাস্ক। সেগুলোই বান্ডিল করে লেখক শ্রীপাশ্বরা নিয়ে যেতেন স্কুলে।

লেখার পাতের সদগতি

হোমটাস্ক করা লেখার পাত স্কুলে নিয়ে যাবার পর মাস্টারমশাই তা দেখে-বুঝে আড়াআড়িভাবে একটানে ছিড়ে ফেরত দিতেন পড়ুয়াদের। লেখকরা হোমটাস্ক করা সেই লেখার পাত বা কলাপাতা স্কুল থেকে ফেরার পথে কোনো পুকুরে ফেলে দিতেন।

Leave a Comment