ম্যালেরিয়া দূরীকরণ নিয়ে দুজন বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা। |
সুমন : কী ব্যাপার রে তোর? টানা পাঁচদিন একেবারে ডুব। কোথাও গেছিলি নাকি?
প্রশান্ত : না রে, জ্যাঠা নার্সিংহোমে ভরতি ছিল তো, একেবারে যমে-মানুষে টানাটানি। সেকারণেই স্কুলেও যাইনি, কোচিংয়েও না।
সুমন : কেন রে, কী হয়েছে তোর জ্যাঠার?
প্রশান্ত : ম্যালেরিয়া, প্রথমটায় ধরা পড়েনি। আর তাতেই তো…
সুমন : এখন কেমন আছে?
প্রশান্ত : এখন একটু ভালো আছে। তবে বিপদ পুরোপুরি কাটেনি।
সুমন : কী করবি বল? টিভিতে, পেপারে, পৌরসভার পক্ষ থেকে হাজার বার সচেতন করা হলেও শহরবাসী কি গ্রামবাসী কোথায় সচেতন হচ্ছে বল? ম্যালেরিয়ার বাহক স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা যে বাড়ির আশেপাশে কোনোকিছুর মধ্যে জমে থাকা স্বচ্ছ স্থির জলে ডিম পাড়ে, সেরকম জল যে জমতে দেওয়া উচিত না, তার প্রচার কি হয় না? তবু কই, ম্যালেরিয়া কমছে কই? বাড়ছেই তো।
প্রশান্ত : তা বলে আবার এটা কিন্তু ভাবিস না আমরা সচেতন নই। চৌবাচ্চা, ফুলের টব, জলের ট্যাঙ্ক, নর্দমা মানে যেখানে যেখানে জমা জলে ম্যালেরিয়ার মশা ডিম পাড়তে পারে, সবই আমরা পরিষ্কার রাখি। স্প্রে করাই, জল পালটাই।
সুমন : শুধু প্রশান্ত মুখার্জিরা সচেতন হলেই হবে? একটা এলাকায় তোরা-ই তো শুধু বাস করিস না। যেমন আমাদের এলাকায় আমরা, আই মিন সুমন দাসরাই শুধু বাস করি না। তা ছাড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে মশা মারার জন্য নিয়মিত স্প্রে করা বা কামান ব্যবহারের ক্ষেত্রে গাফিলতি তো আছেই। যাকগে, তোর জ্যাঠা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন, সেটাই কামনা করি। তবে তোরাও একটু সাবধানে থাকিস।