মৃত্যুদণ্ড তুলে দেওয়া উচিত কি উচিত নয়, সে সম্পর্কে দুই বন্ধুর সংলাপ রচনা

মৃত্যুদণ্ড তুলে দেওয়া উচিত কি উচিত নয়, সে সম্পর্কে দুই বন্ধুর সংলাপ রচনা
মৃত্যুদণ্ড তুলে দেওয়া উচিত কি উচিত নয়, সে সম্পর্কে দুই বন্ধুর সংলাপ রচনা

রাজীব : আজ মনটা বড়ো খারাপ হয়ে আছে রে চয়ন।

চয়ন :
কেন, তোর মনের আবার কী হল হঠাৎ?

রাজীব : মন খারাপ হবে না? আবার একটা ফাঁসি হয়ে গেল যে।

চয়ন : ও, তুই আফজল গুরুর ফাঁসির কথা বলছিস?

রাজীব : হ্যাঁ, লোকটা সংসদ আক্রমণের সঙ্গে কতটা জড়িয়ে ছিল, সেটা জানি না। সত্যি সত্যি যদি প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে থেকেও থাকে, তার শাস্তি কখনও মৃত্যুদণ্ড হতে পারে না।

চয়ন : তার মানে এটাই ধরব যে, রাজীব মিত্র মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে?

রাজীব : অবশ্যই তাই। আমি কখনও মনে করি না খুনের শাস্তি খুনই হতে পারে। সেটা তো তাহলে বদলা হয়ে গেল। 

চয়ন : ওভাবে দেখলে হবে? এই যে কাসভের ফাঁসি হল কিছুদিন আগে। সে কি কম অপরাধ করেছিল? অতগুলো মানুষকে গুলি করে মেরেছিল। কতটা নিষ্ঠুরতার কাজ করেছিল ভাব দেখি একবার। তাকে মৃত্যুদণ্ড না দিলে মৃতদের প্রতি অবিচার করা হত না? যাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, তারা কিন্তু তাদের মারাত্মক অপরাধের জন্যই শাস্তি পায় রাজীব।

রাজীব : হ্যাঁ, মানছি সে-কথা। তার জন্য তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। তা বলে মৃত্যুদণ্ড? বিচারব্যবস্থার ত্রুটিতে, কারও কারসাজিতে সেক্ষেত্রে অনেক নির্দোষেরও তো প্রাণ যেতে পারে। তা ছাড়া ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, চিন কিংবা উত্তর কোরিয়ার মতো কয়েকটা দেশ ছাড়া বিশ্বের বহু দেশেই কিন্তু মৃত্যুদণ্ড তুলে দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারত থেকেও মৃত্যুদন্ড রদ করে দেওয়া উচিত। তুই যে মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে, এটা জেনে আমার কিন্তু খারাপ লাগছে। 

চয়ন : দূর, কে বলল তোকে আমি মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে? আমিও চাই মৃত্যুদণ্ড তুলে দেওয়া হোক। এতক্ষণ তোর সঙ্গে যে মজা করছিলাম, সেটাই বুঝলি না?

Leave a Comment