মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শোচনীয়-মৃত্যুঞ্জয় কে? তার বাড়ির অবস্থা শোচনীয় কেন
মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শোচনীয়-মৃত্যুঞ্জয় কে । তার বাড়ির অবস্থা শোচনীয় কেন |
মৃত্যুঞ্জয়ের পরিচয়
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় একজন শান্ত, নিরীহ, মধ্যবিত্ত কেরানি।
মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শোচনীয় হওয়ার কারণ
মৃত্যুঞ্জয় দুর্ভিক্ষপীড়িত, অসহায় মানুষদের ত্রাণের উদ্দেশ্যে আত্মনিয়োগ করলে তার পরিবার ভয়ংকর অর্থকষ্টে পড়ে। মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে তার স্ত্রী টুনুর মা এক বেলার খাবার বাঁচিয়ে তা ফুটপাথের অন্নপ্রার্থী মানুষদের দান করে দেয়। অল্পদিনের মধ্যেই টুনুর মা অসুস্থ হয়ে যায় ও বিছানা থেকে ওঠার ক্ষমতা হারায়। অনাদর, ক্ষুধা, অবহেলায় বাড়ির ছোটোরা কাঁদে, সকলের মুখ কাঁদো কাঁদো। মৃত্যুঞ্জয় প্রকৃতপক্ষে স্বার্থপর হয়ে বাঁচার যাবতীয় উপকরণ অস্বীকার করতে চেয়েছিল। তাই ক্ষুদ্র ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা পেরিয়ে সে বৃহত্তর সমাজের সমস্যার সমাধান করতে যায়। শহরের লঙ্গরখানায়, ফুটপাথে অন্নহীন মানুষদের সঙ্গে মিশে সে বুঝে নিতে চায় “কোথা থেকে কীভাবে সব কেমন করে সব ওলোট পালোট হয়ে গেল।” কিন্তু পরিস্থিতির অভিঘাত তাকে এমনভাবে বিধ্বস্ত করে যে শেষপর্যন্ত সে বদলে যায় আর তার অনিবার্য পরিণতিতে তার বাড়ির অবস্থা শোচনীয় হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন – শৈশবের স্মৃতি রচনা