ভিয়েনা সম্মেলনের মূল নীতিগুলি কী কী

ভিয়েনা সম্মেলনের মূল নীতিগুলি কী কী
ভিয়েনা সম্মেলনের মূল নীতিগুলি কী কী?

ভিয়েনা সম্মেলনের নীতি

নেপোলিয়নের পতনের পর ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলির পুনর্গঠন, সীমানার পুনর্বিন্যাস এবং শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দের ২০ নভেম্বর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা নগরীতে এক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, যা ‘ভিয়েনা সম্মেলন’ নামে খ্যাত।

এই সম্মেলনে তিনটি মূল নীতি গৃহীত হয়েছিল। এগুলি হল- ① ন্যায্য অধিকার নীতি, ② ক্ষতিপূরণ নীতি এবং ③ শক্তিসাম্য নীতি।

ন্যায্য অধিকার নীতি (Principle of Legitimacy)

এই নীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল ফরাসি বিপ্লবের পূর্বেকার স্থিতাবস্থা বজায় রাখা। এই নীতি অনুসারে ফ্রান্সে বুরবোঁ (Bourbon) রাজবংশ, হল্যান্ডে অরেঞ্জ (Orange) রাজবংশ প্রভৃতি পুনরায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিল।

ক্ষতিপূরণ নীতি (Principle of Compensation)

ক্ষতিপূরণ নীতি অনুসারে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলিকে নেপোলিয়নের সাম্রাজ্যের অংশ থেকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই নীতি অনুসারে ইংল্যান্ড, রাশিয়া, অস্ট্রিয়া, সুইডেন প্রভৃতি রাষ্ট্র লাভবান হয়েছিল।

শক্তিসাম্য নীতি (Principle of Balance of Power)

এই নীতিটি শক্তির ক্ষেত্রে সমতা আনার জন্য রচিত হলেও এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ফ্রান্সের সামরিক শক্তি ভেঙে তাকে দুর্বল করে দেওয়া, যাতে ফ্রান্স ভবিষ্যতে শক্তিশালী হয়ে উঠতে না পারে। ভিয়েনা সম্মেলনে গৃহীত এই তিনটি নীতিকে বাস্তবায়িত করার মধ্য দিয়ে প্রাক্-ফরাসি বিপ্লব অবস্থাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল।

Leave a Comment