ভারতের জনজীবনে নদনদীর গুরুত্ব আলোচনা করো। |
• সভ্যতার বিকাশ: নদীকে কেন্দ্র করেই প্রাচীন সভ্যতাগুলির বিকাশ ঘটেছিল। যেমন- ভারতে সিন্ধু নদীকে কেন্দ্র করে সিন্ধু সভ্যতার বিকাশ ঘটে।
• কৃষিকাজ : ভারতের নদীগুলির বিস্তৃত অববাহিকার উর্বর পলিমাটি কৃষিকাজের পক্ষে আদর্শ। তাইতো এই উর্বর মৃত্তিকা ও নদীর পর্যাপ্ত জল কৃষিকাজের সহায়ক।
• জলসেচ : মৌসুমি বায়ুর অনিশ্চয়তা, শুষ্ক শীতকাল প্রভৃতি কারণে ভারতের কৃষিকাজে জলসেচ অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই ভারতের নদীগুলি থেকে সরাসরি বা খাল কেটে কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক জলসেচের প্রসার ঘটানো হয়েছে।
• জলবিদ্যুৎ: ভারতের পার্বত্য ও মালভূমি অঞ্চলের খরস্রোতা নদীগুলি থেকে বা বহুমুখী নদী পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
• নৌপরিবহণ: ভারতের অধিকাংশ নদী নৌপরিবহণযোগ্য হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসাবাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে।
• পানীয় জলের উৎস: প্রাচীনকালে মানুষ সরাসরি নদীর জল পান করত। বর্তমানে নদীর জলকে পরিস্তুত করে পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
• শিল্পের বিকাশ: শিল্পক্ষেত্রে প্রচুর জলের প্রয়োজন হয়। তাই নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বহু শিল্পের বিকাশ ঘটেছে। যেমন- হুগলি নদীর তীরে হুগলি শিল্পাঞ্চল।
• শহর ও নগরের বিকাশ: নদী তীরবর্তী অঞ্চলে কৃষি, শিল্প, পরিবহণ, ব্যবসাবাণিজ্য, কর্মসংস্থানের সুবিধা থাকায় জনবসতি অত্যন্ত ঘন হয় এবং ধীরে ধীরে বহু শহর ও নগর বিকাশলাভ করে। যেমন- কলকাতা, দিল্লি, বারাণসী, গুয়াহাটি প্রভৃতি।
• মৎস্য শিকার: ভারতের বহু মানুষ নদীতে মাছ ধরে জীবিকা অর্জন করেন। ভারতে উপকূলীয় অঞ্চলে মৎস্য শিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবিকা।
• পশুপালন: নদীর জল পশুপালনে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়।