ভাত গল্পে দুর্যোগটির বর্ণনা দাও। দুর্যোগটি উচ্ছবকে কীভাবে প্রভাবিত করেছিল – আজকের পর্বে ভাত গল্পে দুর্যোগটির বর্ণনা দাও। দুর্যোগটি উচ্ছবকে কীভাবে প্রভাবিত করেছিল তা আলোচনা করা হল।
ভাত গল্পে দুর্যোগটির বর্ণনা দাও। দুর্যোগটি উচ্ছবকে কীভাবে প্রভাবিত করেছিল |
“যা আর নেই, যা ঝড়-জল-মাতলার গর্ভে গেছে তাই খুঁজে খুঁজে উচ্ছব পাগল হয়েছিল।”-দুর্যোগটির বর্ণনা দাও। দুর্যোগটি উচ্ছবকে কীভাবে প্রভাবিত করেছিল? |
দুর্যোগের বর্ণনা
মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘ভাত’ গল্পে বর্ণিত উচ্ছবের জীবনে মাতলা নদীর বন্যা চরম বিপর্যয় ডেকে আনে। দুর্যোগের সেই রাতে শুরু হয় তুমুল ঝড়-বৃষ্টি। তার ঘরের মাঝ খুঁটিটা ধনুকের মতো বেঁকে যায়, উৎসব সেই বাঁকা খুঁটিটিকে চেপে ধরে মাটির দিকে দাবাতে থাকে সর্বশক্তিতে, কিন্তু শেষরক্ষা হয় না। উৎসবের বউ, ছেলেমেয়ে মাতলার প্রবল স্রোতে ভেসে যায় আর শুধুমাত্র গাছের সঙ্গে আটকে থেকে বেঁচে যায় উচ্ছব।
উচ্ছবের উপর দুর্যোগের প্রভাব
প্রবল দুর্যোগের রাতে উচ্ছবের পরিবার বন্যায় ভেসে গেলে পরদিন সকাল থেকে পরের কয়েকটা দিন সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে প্রাণের সাড়া পাওয়ার আশায় উচ্ছবের দিন কেটে যায়। কেবলই চারপাশে ঘুরে ঘুরে সে তার বউ-ছেলেমেয়ের নাম ধরে ডাকতে থাকে। জমিহীন কৃষক উচ্ছবের সরকারের কাছে জমি চাওয়ার দরখাস্তের নকল রাখা ছিল বেবিফুডের কৌটোয়। বন্যায় সেটিও ভেসে যায়। এক রাতের মধ্যে সর্বস্ব হারিয়ে উচ্ছব তার খিদে, তেষ্টা ভুলে যায়। তাই সরকারি লঙ্গরখানায় রান্না খিচুড়ি তার খাওয়া হয় না। পরে ভাত খাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষায় বাহ্যজ্ঞানশূন্য উচ্ছব সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতায় আসার।