বিভিন্ন ধরনের কলম হারিয়ে যাওয়ার যে ইতিহাস ও কারণ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে ফুটে উঠেছে, তা নিজের ভাষায় লেখো। |
কলম সৃষ্টির প্রথম পর্বে বাঁশ, কঞ্চি, পালক ইত্যাদির কলম প্রচলিত ছিল। বিদেশে তো বটেই, ভারতবর্ষেও সেসব কলম ব্যবহারের অনেক উদাহরণ আছে। যেমন-
পালকের কলম
লেখক শ্রীপান্থদের জন্মের আগে থেকেই পালকের কলম ব্যবহৃত হত। সেই ধরনের কলমকে বলা হত কুইল। কুইল তৈরির জন্যে সাহেবরা একটি যন্ত্রও বার করেছিল। ভারতবর্ষে আগত উইলিয়াম জোন্স, কেরি সাহেব প্রমুখ সেই কলম ব্যবহার করতেন। কিন্তু সেই কলমের অসুবিধা ছিল এই, সহজেই তা ভোঁতা হয়ে যেত।
বাঁশ-কঞ্চির কলম
বাঁশ বা কঞ্চি কেটে মুখ সরু করে সেটাকে কলম হিসাবে ব্যবহার করা হত গ্রাম অঞ্চলে। লেখক শ্রীপাশ্বরা কাঠের উনুনে রান্না করা কড়াইয়ের তলার কালি গুলে তৈরি করা লেখার কালি ব্যবহার করে সেই ধরনের কলমে লিখতেন।
ফাউন্টেন পেন
কলমের জগতে বিপ্লব আসে ফাউন্টেন পেনের মাধ্যমে। সেই পেন তৈরি করেছিলেন। লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান। সেই পেনের আবার নানান শ্রেণি ছিল। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল-পার্কার, শেফার্ড, পাইলট, ওয়াটারম্যান, সোয়ান প্রভৃতি। সেগুলো ছিল মূলত দামি। তাতে আবার প্লাটিনাম, সোনা, হিরে ইত্যাদি রত্নেরও ব্যবহার হত। তবে সস্তার জাপানি পাইলট পেনও ছিল।
-এসব পেন হারিয়ে যায় খুবই সস্তার বলপেন এসে পড়াতে। তবে সেই বলপেনও বর্তমানে হারিয়ে যেতে বসেছে কমপিউটারের দৌলতে। বিভিন্ন ধরনের কলমের এমন ইতিহাসই বর্ণিত হয়েছে শ্রীপাস্থের ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে।