বিদ্যালয়ে প্রাথমিক স্তর থেকে ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে দুই অভিভাবকের মাধ্য সংলাপ। |
পার্থ: এটা তো খুবই ভাববার বিষয়। আমাদের মধ্যবিত্ত ঘরের বাংলা মাধ্যমে পড়া ছেলেমেয়েদের দুর্বলতা তো ওখানেই।
কান্তি: প্রাথমিক স্তরে ইংরেজিটার উপর কোনো জোর ছিল না, তাই আমার ছেলের মতো অনেক ছাত্রছাত্রীই ইংরেজিতে কাঁচা থেকে যাচ্ছে। প্রাথমিক স্তরে ইংরেজি তুলে দেওয়ার ফলে আজ এই অবস্থা।
পার্থ: তাহলে তুমিও চাইছ প্রাথমিক স্তর থেকে ইংরেজি আবার প্রচলিত হোক?
কান্তি: নিশ্চয়ই, এমনকি বাংলার পর্ষদ ও সংসদের ভাবা উচিত ইংরেজি মাধ্যমে বাংলার বিদ্যালয় স্তরে পঠনপাঠন চালানো যায় কিনা।
পার্থ: আমিও তো তাই বলি, এখন মাধ্যমিক স্তরের সিলেবাসে হঠাৎ করে ছাত্রছাত্রীদের দুরূহ ইংরেজি বিষয় চাপিয়ে দিলে চলবে না। বরং প্রথম শ্রেণি থেকে ইংরেজি শেখার উপর জোর দিতে হবে।
কান্তি: তা তো বটেই, তা ছাড়া এখন সময়ের প্রয়োজনে নানা বিষয়ে ইংরেজিতে কথা বলতে হয়, যে ব্যাপারটায় আমাদের ছেলেরা সবচেয়ে ভয় পায়। তাই গোড়া থেকে ইংরেজি শিক্ষার আমূল পরিবর্তন দরকার।
পার্থ: কিন্তু এমন একটা প্রয়োজনীয় ভাষা প্রচলনের অসুবিধা কোথায় ছিল?
কান্তি: অসুবিধা কিছুটা ছিল। একটি বিদেশি ভাষা শিশুদের উপর চাপিয়ে দিলে তাদের নরম মনের উপর চাপ পড়বে। এই কারণেই ইংরেজি ভাষাটা প্রাথমিক স্তরে তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন বুঝতে পারা যাচ্ছে সেটা কত বড়ো ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
পার্থ: কিন্তু সেটা বুঝতে যে বড়ো দেরি হয়ে গেল। বেশ কয়েকটা প্রজন্ম ইংরেজি ভাষা না শেখার কারণে, অন্ধকারের অতলে তলিয়ে গেল। আজকাল কম্পিউটারের যুগ, বিভিন্ন পেশাদারিত্বের যুগ। সেখান থেকে এই প্রজন্ম যে ছিটকে পড়ল।
কান্তি: সে তো বটেই। কিন্তু সেই ভুলের তো এখন প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। ‘গতস্য শোচনা নাস্তি’ করে প্রাথমিক থেকেই ইংরেজির প্রতি জোর দিতে হবে।
পার্থ: ঠিক বলেছ কান্তি। আর একইসঙ্গে আমাদের মতো অন্যান্য অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে ছেলেমেয়েদের ইংরেজি বিষয়ে কী করে আরও পোক্ত করে তোলা যায়, সে ব্যবস্থাও নিতে হবে।
কান্তি: ঠিক আছে, চললাম। কাল আবার দেখা হবে।