প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ!-কে বলেছেন? এই অপমৃত্যু কীভাবে ঘটে বলে বক্তা মনে করেন

প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ!-কে বলেছেন? এই অপমৃত্যু কীভাবে ঘটে বলে বক্তা মনে করেন

"প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ!"-কে বলেছেন? এই অপমৃত্যু কীভাবে ঘটে বলে বক্তা মনে করেন

“প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ!”-কে বলেছেন? এই অপমৃত্যু কীভাবে ঘটে বলে বক্তা মনে করেন?

বক্তা

অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের চরিত্র অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন।

প্রতিভার অপমৃত্যু

অভিনয়জীবনের পঁয়তাল্লিশ বছর অতিক্রম করে রজনীকান্ত আটষট্টি বছর বয়সে অনুভব করেন জীবনের অনেকটা পথ তিনি একাই পেরিয়ে এসেছেন। তিনি কেবল ছুটেই চলেছেন কাজের টানে। মঞ্চের উপর একাকী দাঁড়িয়ে যেন রজনীকান্ত অতীত ও বর্তমানকে একসঙ্গে ভেবে দেখেছেন। তিনি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়ানো একজন মানুষরূপে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেন। একসময় নাটক বাছাই করে চরিত্রাভিনয়ের অভ্যাস বদল করে তিনি ‘আবোলতাবোল’ পার্ট নিয়েছেন। তখন অনেকে বলেছেন যে, এইসব চরিত্রে অভিনয় দেখেই নাকি দেশের তরুণসমাজ উচ্ছন্নে যাচ্ছে। সেই ব্যক্তিরাই আবার স্টেজে তার অভিনয় দেখে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। এরপর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার গলার কাজ নষ্ট হয়ে গেছে; নতুন চরিত্রকে বোঝার এবং সেই চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার দক্ষতা নষ্ট হয়েছে। একসময়ের সফল অভিনেতা রজনীকান্ত ক্রমশ প্রধান চরিত্র থেকে সরে পার্শ্বচরিত্রাভিনেতায় পরিণত হয়েছেন। তবু তিনি মঞ্চের আলোর প্রবল টান থেকে মুক্তি পাননি। নিজের যৌবনের শ্রেষ্ঠ সময় অতিক্রম করে বার্ধক্যে পৌঁছে রজনীকান্ত অনুভব করেছেন বর্ণময় অতীতের অভিনয়দক্ষতা ক্রমশ হারিয়ে গিয়েছে।

Leave a Comment