প্রথম বিশ্বযুদ্ধের জন্য ঔপনিবেশিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা কত দূর দায়ী ছিল? |
১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল তার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল- ইউরোপের রাষ্ট্রগুলির মধ্যে ঔপনিবেশিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
দায়িত্ব
ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার জন্য উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলির এই ধারণা বদ্ধমূল হয়েছিল যে, কোনো রাষ্ট্রের ক্ষমতা ও গুরুত্বের মাপকাঠি হল তার সাম্রাজ্যের বিশালতা। তাই ইউরোপীয় বৃহৎ রাষ্ট্রগুলি উপনিবেশ বিস্তারের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয় এবং এর পরিণামে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়।
ঔপনিবেশিক বাজার দখলের লড়াই
ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি-সহ ইউরোপের দেশগুলি তাদের উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রির জন্য উপনিবেশ দখলে রাখতে সচেষ্ট হয়। কারণ- তখন উপনিবেশগুলি ছিল তাদের উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রির লাভজনক বাজার।
কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা
ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলি তাদের শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও খনিজ সম্পদ সংগ্রহের লক্ষ্যে এশিয়া ও আফ্রিকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিল।
প্রতিষ্ঠিত ও নতুন রাষ্ট্রের উপনিবেশ দখলের চেষ্টা
উনিশ শতকে জার্মানি যখন সাম্রাজ্যবিস্তারে অবতীর্ণ হল তখন তারা লক্ষ করে যে, ইংরেজ ও ফরাসিরা এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলি দখল করে রেখেছে। জার্মানি সাম্রাজ্যবিস্তারের জন্য আত্মনিয়োগ করলে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে জোট গড়ে ওঠে। উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার জন্য এই পরস্পরবিরোধী জোটই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের জন্য দায়ী ছিল।
পরিশেষে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও রাশিয়াকে নিয়ে গঠিত ত্রিশক্তি আঁতাত ও অপরদিকে জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও ইটালিকে নিয়ে গঠিত ত্রিশক্তি মৈত্রী ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়।