“পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবীর মতোই বা জিওয়েড।”-ব্যাখ্যা উত্তর দাও। |
বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবী সৃষ্টির প্রাথমিক পর্বে পৃথিবীর আকৃতি গোলাকার ছিল। নিজ অক্ষের ওপর ক্রমাগত আবর্তনের ফলে এর মধ্যাংশ বরাবর অতিরিক্ত কেন্দ্রবিমুখ বলের সৃষ্টি হয় এবং পৃথিবীর মধ্যাংশ অর্থাৎ নিরক্ষীয় অঞ্চল কিছুটা স্ফীত হয়ে অভিগত গোলকের রূপ নেয়। তবে পরবর্তী সময়ে আরও গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, পৃথিবীর আকৃতি প্রকৃত অভিগত গোলক নয়। তার কারণ-① পাহাড়-পর্বত, মালভূমি, সমুদ্রতল প্রভৃতির জন্য পৃথিবীর পৃষ্ঠ উঁচুনীচু, ঢেউখেলানো এবং বন্ধুর প্রকৃতির। হিমালয় পর্বতের মাউন্ট এভারেস্ট (উচ্চতা 8,848 মিটার) পৃথিবীর উচ্চতম স্থান আর প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা খাত (গভীরতা প্রায় 11,000 মিটার) হল পৃথিবীর নিম্নতম স্থান। এতে বোঝা যায়, পৃথিবীর পৃষ্ঠ সর্বত্র সমতল নয়। ② সাম্প্রতিককালে মহাশূন্যে প্রেরিত কৃত্রিম উপগ্রহের পাঠানো ছবি ও তথ্য থেকে জানা গেছে-[i] পৃথিবীর শুধু দক্ষিশমেরুই চাপা, উত্তরমেরু চাপা নয়। [ii] দক্ষিশমেরু 20 মিটারের অধিক নীচু এবং উত্তরমেরু 20 মিটারের অধিক উঁচু। [iii] দক্ষিশ গোলার্ধের মধ্য অক্ষাংশীয় অঞ্চল ৪ মিটার উঁচু এবং উত্তর গোলার্ধের মধ্য অক্ষাংশীয় অঞ্চল ৪ মিটার নীচু হয়ে আছে।
পৃথিবীর এরূপ বিশিষ্ট আকৃতি পৃথিবীতে উপস্থিত কোনো বস্তুর সঙ্গে তুলনীয় নয়। তাই বলা হয়, পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি পৃথিবীর মতোই বা ‘Geoid’ |