পৃথিবীতে দিন ও রাত হয় কীভাবে? দিন ও রাতের বিভিন্ন অবস্থা বর্ণনা করো। |
দিন ও রাতের সংঘটন
পৃথিবী নিজ অক্ষের চারিদিকে পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করে চলেছে। পৃথিবীর এই আবর্তন গতির জন্য ভূপৃষ্ঠে পর্যায়ক্রমে দিনরাত্রি সংঘটিত হচ্ছে। গোলাকার পৃথিবী সূর্যের আলোতেই আলোকিত হয়। আবর্তনের সময় পৃথিবীর যে অর্ধাংশ সূর্যের দিকে থাকে সেখানে সূর্যের আলো পড়ে, ফলে সেখানে হয় দিন। অন্যদিকে বিপরীত দিকের অর্ধাংশে সূর্যের আলো পড়ে না, ফলে সেখানে হয় রাত।
দিন ও রাতের বিভিন্ন অবস্থা
পৃথিবী গোলাকার বলে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময় ভূপৃষ্ঠে দিন ও রাতের বিভিন্ন অবস্থা, যেমন-① উষা ও গোধূলি, ② প্রভাত ও সন্ধ্যা, ও মধ্যাহ্ন ও মধ্যরাত প্রভৃতি সৃষ্টি হয়।
① উষা ও গোধূলি: সূর্যোদয়ের কিছু আগে যে সময়টিতে পৃথিবীর অন্ধকার অংশ যখন ছায়াবৃত্ত পেরিয়ে আলোকিত অংশে প্রবেশ করে, তখন বায়ুমণ্ডলের ধূলিকণায় সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে পূর্ব আকাশে ক্ষীণ আলো দেখতে পাওয়া যায়, সেই সময়টিকে বলে উষা। আবার সূর্যাস্তের পর যে সময়টিতে পৃথিবীর অন্ধকার অংশ যখন ছায়াবৃত্ত পেরিয়ে আলোকিত অংশে প্রবেশ করে, তখন বায়ুমণ্ডলের ধূলিকণায় সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে পশ্চিম আকাশে ক্ষীণ আলো দেখতে পাওয়া যায়, সেই সময়টিকে বলে গোধূলি।
② প্রভাত ও সন্ধ্যা: আবর্তনের জন্য ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থান যখন অন্ধকার থেকে ছায়াবৃত্ত পেরিয়ে আলোকিত হয় তখন সেখানে প্রভাত বা সকাল হয়। এর ঠিক বিপরীত দিকের স্থানটি তখন ছায়াবৃত্ত পেরিয়ে অন্ধকার অংশে প্রবেশ করে, ফলে সেখানে হয় সন্ধ্যা।
③ মধ্যাহ্ন ও মধ্যরাত: পৃথিবীর আলোকিত অর্ধাংশের একেবারে মাঝখানের স্থানটিতে সূর্য অবস্থান করলে সেখানে হয় মধ্যাহ্ন। মধ্যাহ্নের ঠিক বিপরীত দিকে অন্ধকার অর্ধাংশের মধ্যবর্তী স্থানটিতে সেই সময় হয় মধ্যরাত।