পুজোয় চাঁদার জুলুম নিয়ে দুই নাগরিকের মধ্যে সংলাপ রচনা

পুজোয় চাঁদার জুলুম নিয়ে দুই নাগরিকের মধ্যে সংলাপ রচনা
পুজোয় চাঁদার জুলুম নিয়ে দুই নাগরিকের মধ্যে সংলাপ রচনা

প্রবীরবাবু : কেমন আছ হে সনাতন?

সনাতনবাবু: আর বলবেন না প্রবীরদা। জীবন একেবারে কালি করে দিল। ভালো থাকব কী করে বলুন?

প্রবীরবাবু :
কেন, কারা আবার কী করল? 

সনাতনবাবু: কারা আবার, পাড়ায় ক্লাবের ওই ছেলেগুলো। আজ এই অনুষ্ঠান, পরশু ওই। অতএব দাও চাঁদা। দু-পাঁচ-দশ কি পঞ্চাশ-একশো হয়, তাও না হয় ঠিক আছে, একেবারে কিনা এক হাজার-পাঁচ হাজার। দিতে পারব না বললেই শুনতে হয়, ‘এ-পাড়ায় থেকে চাকরি করে খাচ্ছেন। আর পাড়ার অনুষ্ঠানে সামান্য ও কয়টা টাকা চাঁদা দেবেন না? তাহলে আর আছেন কেন এ-পাড়ায়? উঠে যান না।’ প্রচ্ছন্ন হুমকি, বুঝলেন কি না? এই তো দিন কুড়ি-পঁচিশও হয়নি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে একরকম জোর করেই হাজার টাকা নিল। আর এখন দুর্গাপুজোর নাম করে পাঁচ হাজার চাইছে। বলেছে ওটাকা দিতেই হবে।

প্রবীরবাবু :
ও মা, সে কী, এ তো রীতিমতো জুলুম।

সনাতনবাবু: জুলুম বলে জুলুম। আরে বাবা, চাঁদা দেব না, আমি তো বলিনি। কিন্তু আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আমি যা দেব, তাই তো নেওয়া উচিত।

প্রবীরবাবু :
উচিত তো সেটাই। চাঁদার জন্য জোর করার নিয়মই নেই।

সনাতনবাবু :
ভাবুন তাহলে একবার।

প্রবীরবাবু :
এক কাজ করতে পারো, থানায় গিয়ে ব্যাপারটা জানাতে পারো।

সনাতনবাবু :
সেটাও করিনি ভেবেছেন? প্রথম যে বছর ও পাড়ায় আসি, চাঁদার জুলুমে অতিষ্ঠ হয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলাম, পরে ক্লাবের ছেলেদের হুমকিতে অভিযোগ তুলেই নিতে হয়েছিল। এখন ভাবছি ফ্ল্যাট কিনে বেরিয়ে যাব কি না।

প্রবীরবাবু :
ওটা কোনো সমাধানই নয়, বরং চেষ্টা করো পাড়ার সবাই মিলে রুখে দাঁড়াতে। তাতেই কাজের কাজ হবে।

Leave a Comment