পালকের কলম তো দূরস্থান, দোয়াত কলমই বা আজ কোথায়।—পালকের কলম সম্পর্কে লেখক শ্রীপান্থ কী জানিয়েছেন? দোয়াত কলম প্রসঙ্গে লেখক কী বলেছেন

"পালকের কলম তো দূরস্থান, দোয়াত কলমই বা আজ কোথায়।”—পালকের কলম সম্পর্কে লেখক শ্রীপান্থ কী জানিয়েছেন? দোয়াত কলম প্রসঙ্গে লেখক কী বলেছেন
“পালকের কলম তো দূরস্থান, দোয়াত কলমই বা আজ কোথায়।”—পালকের কলম সম্পর্কে লেখক শ্রীপান্থ কী জানিয়েছেন? দোয়াত কলম প্রসঙ্গে লেখক কী বলেছেন?
শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনায় কলমের ক্রমবিবর্তনের নানা পর্যায় আলোচনা করতে গিয়ে পালকের কলমের কথা উল্লেখ করেছেন। কঞ্চির কলম বা খাগের কলমের পর পাখির পালকের মাথা ছুঁচোলো করে কালিতে মুখ ডুবিয়ে সেই কলমে লেখা হত। উনিশ শতকের প্রথমদিকে এই কলমের প্রচলন ছিল। এই পালকের কলমকে ইংরেজিতে ‘কুইল’ বলা হয়। ইংরেজ সাহেবরা এই পালকের কলমের মুখ ছুঁচোলো করার জন্য পেনসিল সার্পনারের মতো একটি যন্ত্রও বানিয়েছিল। এখন পালকের কলম দেখতে হলে পুরানো দিনের তৈলচিত্র (যেমন-কেরি সাহেবের স-মুনশি চিত্র) কিংবা ফটোগ্রাফের সাহায্য নেওয়া ছাড়া গতি নেই।

দোয়াত কলম হল দোয়াতে নিব ডুবিয়ে লেখার কলম। পালকের কলমের মুখ সহজেই ভোঁতা হয়ে যেত, তাই শিং কিংবা ধাতুর নিব বসানো হল কাঠের বা ধাতুর দণ্ডের আগায়। বিভিন্ন ধরনের ছুঁচোলো কিংবা চওড়া মুখের নিব পাওয়া যেত। এ সকল কলমের জন্য বড়ি গুলে কালি তৈরি হত কিংবা তৈরি কালি পাওয়া যেত দোয়াতে বা বোতলে।

দোয়াতও তৈরি হত বিভিন্ন আকৃতির ও বিভিন্ন বস্তু- সামগ্রী দিয়ে। কাচের, কাট-গ্লাসের, পোর্সেলিনের, শ্বেতপাথরের, জেড়ের কিংবা পিতলের দোয়াত হত। ভেড়ার শিং এমনকি সোনার তৈরি দোয়াতও পাওয়া যেত ফাউন্টেন পেন সহজলভ্য হওয়ায় এই দোয়াত কলমের ব্যবহার বন্ধ রয়েছে, বর্তমানে তা টেবিল, সাজানোর উপকরণ মাত্র।

Leave a Comment