![]() |
পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি লেখো। |
পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা
পদার্থের পরমাণুর নিউক্লিয়াসের বিভাজন বা সংযোজন ঘটিয়ে যে শক্তি উৎপাদন করা হয়, তাকে পারমাণবিক শক্তি বলে।
পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের প্রধান সুবিধাগুলি হল-
অধিক শক্তি উৎপাদন
খুব সামান্য পরিমাণ কাঁচামাল (ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম প্রভৃতি) ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন করা যায়। যেমন-1 পাউন্ড ইউরেনিয়াম থেকে প্রায় 12000 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যায়।
শক্তিকেন্দ্র স্থাপন
কাঁচামাল কম লাগে বলে, উন্নত প্রযুক্তি ও কাঁচামালের জোগান থাকলে যে-কোনো স্থানে পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র স্থাপন করা যায়।
স্বল্প ব্যয়ে উৎপাদন
পারমাণবিক শক্তির উৎপাদন খরচ কম। তাই সস্তায় প্রচুর বিদ্যুৎ জোগান দেওয়া যায়।
প্রত্যক্ষভাবে পরিবেশদূষণ ঘটে না
বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয় তা তেজস্ক্রিয় হলেও সরাসরি পরিবেশদূষণের ভয় থাকে না।
পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের প্রধান অসুবিধাগুলি হল-
তেজস্ক্রিয়তার সমস্যা
পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনের সময় যে তেজস্ক্রিয় শক্তি নির্গত হয় তা থেকে ক্যানসার ও অন্যান্য রোগ হয় এবং জীবজগতের ক্ষতি করে।
উৎপাদনে অসুবিধা
পারমাণবিক শক্তির কাঁচামালগুলিকে এখনও লাভজনকভাবে ব্যবহার করা যায়নি। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ বহু দেশ বেশি অর্থ দিয়ে অন্যদেশ থেকে ভারী জল (deuterium oxide) আমদানি করে বলে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়।
অন্যান্য অসুবিধা
[i] আধুনিক প্রযুক্তির অভাব রয়েছে। [ii] অনেক ক্ষেত্রে মানুষের ক্ষতির জন্য ব্যবহার করা হয়। [iii] পারমাণবিক চুল্লির বয়স 30 – 40 বছর হলে নতুন চুল্লি বসাতে হয়, ফলে খরচ বেড়ে যায়। [iv] এ ছাড়া পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র থেকে যে-কোনো সময় বিস্ফোরণ। বা দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।