চয়ন : আজকের আনন্দবাজার পত্রিকাটা পড়েছিস সৌগত?
সৌগত : হ্যাঁ, কেন?
চয়ন : পরিবেশ দূষণ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ কী জানিয়েছে পড়েছিস?
সৌগত : পরিবেশ দূষণ নিয়ে? কই না তো। কত পাতায় লেখাটা ছিল বল দেখি? কোচিং-এ আসব বলে তাড়া ছিল সকালে। শুধু মেন মেন হেডিংগুলোয় চোখ বুলিয়েছিলাম। তাই হয়তো চোখ এড়িয়ে গেছে।
চয়ন : বাড়ি ফিরে অবশ্যই পড়ে নিস। যা লিখেছে না।
সৌগত : ডোন্ট মাইন্ড চয়ন, কী লিখেছে ছোটো করে একটু বলবি?
চয়ন : ‘হু’ জানিয়েছে পৃথিবীতে যে হারে পরিবেশ দূষণ বাড়ছে, তাতে করে পৃথিবীর প্রাণীদের মধ্যে ক্ষতিকারক প্রভাব আরও তো বাড়বেই, তার ওপর পৃথিবীতে উন্নতাও বাড়বে অনেকটাই। ফলে উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুর বরফ ক্রমশ গলে গিয়ে প্রায় গোটা পৃথিবীকে তলিয়ে দেবে খানিকটা জলের তলায়। ‘তু’ আরও জানিয়েছে কলকারখানা ও গাড়ির ধোঁয়ায় বায়ুদূষণ ছাড়াও শব্দদূষণ, জলদূষণ এরকম নানা ক্ষেত্রে পৃথিবীর যে ক্ষতি হচ্ছে, তাতে ওজন স্তরে ছিদ্র হয়ে গিয়ে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি পৃথিবীতে পৌঁছে যাচ্ছে। এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী বৃহত্তম তিনটি দেশ- আমেরিকা, চিন ও ভারতবর্ষ।
সৌগত : এ বাবা, সে কী, আমাদের দেশটাও ওর মধ্যে রয়েছে। তা অবশ্য থাকবে না-ই বা কেন? কলকারখানার কথা না হয় বাদই দিলাম, ভারতে এখন গাড়ির সংখ্যা কত বেড়েছে ভাব দেখি একবার। ধোঁয়া, ধুলো, জঞ্জাল, কীটনাশক – সব দিক দিয়ে আমাদের দেশটা বিষিয়ে গেছে। ‘হু’ যে সেসবের জন্য ভারতকে দায়ী করবে, তাতে আর আশ্চর্যের কী?