পবিত্র চুক্তি ব্যর্থ হয়েছিল কেন? |
পবিত্র চুক্তি
রুশ জার প্রথম আলেকজান্ডার ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দের ২৬ সেপ্টেম্বর পবিত্র চুক্তি ঘোষণা করেছিলেন। ইউরোপের সমস্ত রাজন্যবর্গকে তিনি ওই চুক্তি মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান।
চুক্তির ব্যর্থতা
পবিত্র চুক্তির ব্যর্থতার পিছনে একাধিক কারণ ছিল-
[1] এই চুক্তিতে রাজন্যবর্গকে ব্যক্তিগত সংকীর্ণ স্বার্থ ত্যাগ করে খ্রিস্টীয় আদর্শে রাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করতে আহ্বান জানানো হয়। জারকে খুশি করার জন্য এতে স্বাক্ষর করলেও এই চুক্তিকে কোনো দেশই তেমন গুরুত্ব দেয়নি।
[2] তৎকালীন ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম শক্তি ইংল্যান্ড এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।
[3] ইউরোপীয় রাজনীতিকরা পবিত্র চুক্তিকে শুরু থেকেই সন্দেহের চোখে দেখেন।
[4] এই চুক্তি সাধারণ জনগণের সমর্থন লাভে ব্যর্থ হয়।
[5] ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির যুগে ধর্মীয় নিয়মানুযায়ী রাজ্যশাসন করার প্রচেষ্টা ছিল হাস্যকর এবং অবাস্তব।
[6] রাশিয়ার জার ছাড়া স্বাক্ষরকারী আর কোনো দেশই এই চুক্তি প্রতি আন্তরিক ছিলেন না। আর তাই জার প্রথম আলেকজান্ডারের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে এই চুক্তির অবসান ঘটে।
- বাস্তবে পবিত্র চুক্তি কার্যকর হয়নি। একমাত্র জার প্রথম আলেকজান্ডার ছাড়া এতে কারও আস্থা ছিল না। শুধুমাত্র জারকে খুশি করার জন্য অনেকে এতে স্বাক্ষর করেছিলেন। মেটারনিখ এই চুক্তিকে ‘অর্থহীন উচ্চনাদ’ (High Sounding nothing) বলে বিদ্রুপ করেছিলেন।