ভূমিকা
‘পথ শব্দটার কোনো বিকল্প ছিল না’ তাই মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের একটি নির্বিকল্প অংশ পথ। জীবনের প্রয়োজনে মানুষ বারবার পথের সম্মুখীন হয়। তাই যথাযথ পথ পরিক্রমা সার্থকভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। কিন্তু নিত্যদিনের পথ দুর্ঘটনায় জীবনের পথ চলা হঠাৎ থমকে যায়। মৃত্যুর সেই শূন্যতাকে প্রতিরোধ করার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্প্রতি ৮ জুলাই, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে ‘সেফ ড্রাইড সেভ লাইফ’ কর্মসূচি গ্রহণ করে।
পথ নিরাপত্তা বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগ
পথ নিরাপত্তা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ স্লোগানকে বাস্তবায়িত করতে পুলিশ প্রশাসন বিশিষ্ট ভূমিকা গ্রহণ করেছে। কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পরিবহণ দফতর প্রচার অভিযান শুরু করেছে। রাজ্যের ক্রমশ বেড়ে চলা পথ দুর্ঘটনা বন্ধ করতে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ সংস্থা। সুশীল জনসমাজ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, সাধারণ মানুষের তৎপরতা রাজ্যের পথ দুর্ঘটনা কমাবে বলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আশাবাদী।
পথ দুর্ঘটনার প্রকৃতি
সাম্প্রতিক নগরজীবনের ব্যস্ততা মানুষকে যেন এক দৌড় প্রতিযোগিতায় শামিল করেছে। তাই পথে যানবাহন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে তাদের গতিও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বেপরোয়া গাড়ি চালানো, গাড়ির সঙ্গে গাড়ির রেষারেষি, ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করা প্রভৃতি কারণে পথ দুর্ঘটনা একটি প্রায় নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে পথচলতি মানুষ কিংবা আরোহী দুজনেরই প্রাণসংশয় ঘটে।
প্রতিকার
দৈনন্দিন পথ দুর্ঘটনার এই সমস্যার সমাধান করতে রাজ্য সরকার প্রণোদিত ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে পেরেছে। সেইসঙ্গে মানুষের ধৈর্য, সহনশীলতা যদি ক্রমশ বাড়িয়ে তোলা যায়, তাহলে পথ দুর্ঘটনা অনেক কমানো যাবে।
উপসংহার
পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালিত হলেও পথ দুর্ঘটনা রোধ করা যায়নি। সেই তুলনায় ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ প্রকল্প অনেকাংশেই সার্থক হয়েছে। যদি আরও ব্যাপকভাবে সার্বিক ক্ষেত্রে এই সচেতনতা জাগিয়ে তোলা যায়, তাহলে পথচলতি মানুষ সর্বতোভাবে নিরাপদ থাকবে।