নেপোলিয়ন কীভাবে জার্মানির পুনর্গঠন করেন? |
নেপোলিয়নের সুদক্ষ নেতৃত্ব ও কূটনীতির ফলে ইউরোপের যেসকল অঞ্চল পুনর্গঠিত হয়েছিল, সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জার্মানি।
জার্মানির পুনর্গঠন
জার্মানিতে নেপোলিয়নের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ছিল চমকপ্রদ। তিনি অস্ট্রিয়া ও প্রাশিয়াকে বিভিন্ন যুদ্ধে পরাস্ত করে যথাক্রমে ১৭৯৫ খ্রিস্টাব্দে ব্যসলের সন্ধি, ১৭৯৭ খ্রিস্টাব্দে ক্যাম্পো ফোর্মিওর সন্ধি এবং ১৮০১ খ্রিস্টাব্দে লুনিভিলের সন্ধির দ্বারা রাইন নদীর পশ্চিম তীর পর্যন্ত জার্মান ভূখণ্ডে ফ্রান্সের আধিপত্য স্থাপন করেন।
- নেপোলিয়ন রাইন নদীর পূর্ব ও পশ্চিম তীরে অবস্থিত বিশপের রাজ্য বা স্বশাসিত অঞ্চলগুলি বিলোপ করে সেই জমিগুলি রাজাদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেন। এর ফলে ৩০০টি রাজ্যে বিভক্ত জার্মানি ৩৯টি রাজ্যে পরিণত হয়।
- জার্মানির ব্যাভেরিয়া, ব্যাডেন, স্যাক্সনি, উইটেনবার্গ-সহ আরও বেশ কিছু ক্ষুদ্র রাজ্যের দ্বারা তিনি ‘কনফেডারেশন অফ দ্য রাইন’ (Confederation of the Rhine) গঠন করেন। এর ফলে জার্মানি থেকে অস্ট্রিয়ার প্রভাব লোপ পায়।
- জার্মানি থেকে প্রাশিয়ার প্রভাব দূর করার জন্য নেপোলিয়ন পোল্যান্ডের কিছু অংশ এবং পশ্চিম প্রাশিয়া নিয়ে যথাক্রমে ‘কিংডম অফ ওয়েস্টফেলিয়া’ (Kingdom of Westphalia) এবং ‘গ্র্যান্ড ডাচি অফ ওয়ারশ’ (Grand Duchy of Warsaw) নামে দুটি রাজ্য গঠন করেন। প্রথম রাজ্যটি নেপোলিয়নের ভ্রাতা জোরোমের এবং দ্বিতীয় রাজ্যটি স্যাক্সনির রাজার অধীনে রাখা হয়। অতঃপর জার্মানিতে রাস্তাঘাট নির্মাণ, কলকারখানা স্থাপন, কোড নেপোলিয়ন প্রণয়ন-সহ বহু সংস্কারকার্য করে নেপোলিয়ন জার্মানিকে পুনর্গঠিত করেন।