নানা রঙের দিন নাটকের নামকরণের তাৎপর্য আলোচনা করো
‘নানা রঙের দিন’ নাটকের নামকরণের তাৎপর্য আলোচনা করো। |
ভূমিকা
সাহিত্যে নামকরণ পাঠক এবং সাহিত্যের বিষয়ের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে। নামকরণেই সাহিত্যিকের মূল উদ্দেশ্য নিহিত থাকে। ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে নাট্যকার জনপ্রিয় অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের জীবনকাহিনি রচনা করেছেন।
নাটকের বিষয়বস্তু
রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় যৌবনে অভিনয়ের দক্ষতায় ছিলেন খ্যাতি-যশ-জনপ্রিয়তার শীর্ষে। বয়সের সঙ্গে সেই বর্ণময় জীবনের রুপোলি মায়া ক্রমশ ক্ষয় পেতে থাকে। তিনি যৌবন- আদর্শ-শক্তি- সম্ভ্রম-প্রেম-নারী হারিয়ে ফেলেন। তিনি উপলব্ধি করেন ‘থিয়েটারওয়ালারা’ দর্শকদের আনন্দ দিলেও তাদের কোনো সামাজিক মর্যাদা নেই। পঁয়তাল্লিশ বছরের অভিনয় জীবনের পর তিনি মঞ্চের ওপারের অন্ধকার প্রান্তে মৃত্যুকে দেখতে পান। প্রতিভা দিয়েও তিনি একাকিত্বকে জয় করতে পারেন না।
সার্থকতা বিচার
অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় জীবনের ওঠা-পড়া এই নাটকের মূল বিষয়। তার যৌবনের স্পর্ধার রং, জনপ্রিয়তার উজ্জ্বল রং, বার্ধক্যের একাকিত্বের ধূসর রং, মৃত্যুর জন্য অপেক্ষার কালো রং নাটকের কাহিনিকে রঙিন করে দেয়। তাই ব্যঞ্জনাধর্মী নামকরণ হিসেবে নাটকটির নামকরণ সার্থক।