দ্রাঘিমারেখা কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার উল্লেখ করো। |
দ্রাঘিমারেখা
সুমেরুবিন্দু থেকে কুমেরুবিন্দু পর্যন্ত ভূপৃষ্ঠের ওপর উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত সমান দ্রাঘিমাযুক্ত কাল্পনিক অর্ধবৃত্তাকার রেখাগুলিকে বলে দ্রাঘিমারেখা। ভূপৃষ্ঠের ওপর একই দ্রাঘিমায় অবস্থিত স্থানগুলিকে যোগ করে দ্রাঘিমারেখা আঁকা হয়।
বৈশিষ্ট্য
① দ্রাঘিমারেখাগুলি প্রত্যেকটি অর্ধবৃত্ত।
② দ্রাঘিমারেখাগুলি পরস্পর সমান্তরাল নয়।
③ নিরক্ষীয় অঞ্চলে দ্রাঘিমারেখাগুলির পারষ্পরিক দূরত্ব বেশি এবং মেরুর দিকে ক্রমশ কম।
④ প্রতিটি দ্রাঘিমারেখার দৈর্ঘ্য সমান।
⑤ কোনো নির্দিষ্ট দ্রাঘিমারেখা বরাবর ভূপৃষ্ঠের প্রতিটি স্থানের দ্রাঘিমা সমান।
⑥ একই দ্রাঘিমারেখার বিভিন্ন স্থানে জলবায়ুর ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ করা যায়। একই দ্রাঘিমারেখার বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় সময় একইরকম হয়।
ব্যবহার
① পৃথিবীর কোনো স্থান মূলমধ্যরেখার কতটা পূর্বে বা পশ্চিমে অবস্থিত তা দ্রাঘিমারেখার সাহায্যে সহজেই জানা যায়।
② পৃথিবীর যে-কোনো স্থানের সময় দ্রাঘিমারেখার সাহায্যে নির্ণয় করা যায়।
③ অনেকসময় কোনো দেশ বা রাজ্যের সীমানা নির্ধারণে দ্রাঘিমারেখা ব্যবহার করা হয়। যেমন-আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্যের সীমানা নির্দেশ করার জন্য দ্রাঘিমারেখার ব্যবহার করা হয়।