দৈব রাজতন্ত্রের ধারণা বলতে কী বোঝ

দৈব রাজতন্ত্রের ধারণা বলতে কী বোঝ
দৈব রাজতন্ত্রের ধারণা বলতে কী বোঝ?

ফ্রান্সের রাজারা দৈব রাজতন্ত্রের ধারণায় বিশ্বাসী ছিলেন। বলা হত যে, তিনি ঈশ্বরের প্রতিনিধি। তাঁর কোনো কাজ বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো প্রশ্ন করা যেত না। প্রচার করা হত-তিনি অভ্রান্ত-তিনি কোনো ভুল করতে পারেন না। একেই- ‘দৈব রাজতন্ত্রের ধারণা’ বলা হয়েছে।

ঈশ্বরদত্ত ক্ষমতায় বিশ্বাসী

ফ্রান্সের বুরবোঁ শাসকরা স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রকে কায়েম রাখার জন্য জনগণের কাছে নিজেদের ‘ঈশ্বরের প্রতিনিধি’ বলে ঘোষণা করতেন। তারা প্রচার করতেন, যেহেতু ঈশ্বরের ইচ্ছায় তারা রাজা হয়েছেন, সেহেতু নিজের কৃতকর্মের জন্য একমাত্র ঈশ্বরের কাছে ছাড়া আর কারও কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নন।

নির্জলা স্বৈরাচারী শাসন

ঈশ্বরদত্ত ক্ষমতার জিগির তুলে তারা ফ্রান্সে নির্জলা (সীমাহীন) স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেন। রাজা ছিলেন দেশের সর্বোচ্চ শাসক, বিচারক ও আইন প্রণেতা। সেখানে প্রজাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। দৈব রাজতন্ত্রের ধারণার বশবর্তী হয়ে বুরবোঁ শাসকরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন।

এই ধারণা অনুযায়ী রাজা তার রাজ্যশাসন করার অধিকার প্রজাদের কাছ থেকে পাননি বা নিজের কোনো বিশেষ ক্ষমতার জন্য পাননি। তিনি এই অধিকার পেয়েছেন দৈব নির্দেশ অনুযায়ী স্বয়ং ঈশ্বরের কাছ থেকে।

Leave a Comment