“দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়”- মৃত্যুঞ্জয় কেমন হয়ে যেতে লাগল । তার এমন হয়ে যাওয়ার কারণ কী
দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।”- মৃত্যুঞ্জয় কেমন হয়ে যেতে লাগল? তার এমন হয়ে যাওয়ার কারণ কী? |
মৃত্যুঞ্জয়ের বিবর্তন
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয় দুর্ভিক্ষে মানুষের মৃত্যু দেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়। অনুশোচনায় দগ্ধ মৃত্যুঞ্জয় প্রথমে এক বেলা খাওয়া ছেড়ে মাইনের সমস্ত টাকা রিলিফ ফান্ডে পাঠিয়ে দেয়। ‘শহরের আদি অন্তহীন ফুটপাথ ধরে’ হেঁটে, লঙ্গরখানার অন্নপ্রার্থী মানুষদের সঙ্গে মিশে সমাজের সংকটের বিষয়টি সে বুঝতে চায়। পরিবর্তিত সমাজকাঠামোয় সে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে না। গাঢ় হতাশায় অফিসের কাজে অমনোযোগী হয়ে যায়, দায়িত্ববান মৃত্যুঞ্জয় দেরি করে অফিসে আসে, কাজে ভুল করে, চুপ করে বসে থেকে একসময় বেরিয়ে যায়।
কারণ
মৃত্যুঞ্জয় তার আদর্শবাদী, সংবেদনশীল চিন্তায় অনাহারী মানুষের মৃত্যুর জন্য নিজের সচ্ছলতা ও অন্নহীন মানুষের প্রতি তার উদাসীনতাকে দায়ী করে। দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ সংকটে তার এই আত্ম-অনুশোচনা আত্মযন্ত্রণায় পরিণত হয়। তাই মৃত্যুঞ্জয়ের সমগ্র সত্তায় পরিবর্তন আসে।
আরও পড়ুন – শৈশবের স্মৃতি রচনা